আবার একবার করোনা ভাইরাসের প্রকোপে বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির। রিপোর্ট অনুযায়ী, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ইতিমধ্যেই গত সাত দিনে ৫০ জন সেবাইত আক্রান্ত হয়েছেন নোভেল করোনা ভাইরাসে। এর ফলে, তড়িঘড়ি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্দিরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে আগামী ১৫ মে অক্ষয় তৃতীয়া পর্যন্ত মন্দিরের দরজা জনসাধারণের জন্য বন্ধ থাকতে চলেছে।
জানিয়ে রাখা ভাল, অন্যান্য বেশ কিছু মন্দিরের মতো করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের সময় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা। জগন্নাথ মন্দিরের মুখ্য প্রশাসক কৃষণ কুমার একটি বৈঠক করে সকলের উদ্দেশ্যে ঘোষণা করেন, ‘আগামী ১৫ মে অক্ষয় তৃতীয়া পর্যন্ত পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকবে। সেবাইত এবং মন্দির আধিকারিকদের মাধ্যমে প্রত্যেক দিনের পূজা চলতে থাকবে। ইতিমধ্যেই অনেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গিয়েছেন। তাই মন্দিরের কাজে যারা নিয়োজিত তাদের স্বাস্থ্যের দিকটা ভালো ভাবে নজর রাখা হচ্ছে। প্রতিদিন তাদের এবং তাদের পরিবারের থার্মাল স্ক্রীনিং এবং করোনা পরীক্ষা করা হবে।’
তিনি আরও ঘোষণা করেন, “যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন তাদের চিকিৎসা করা হবে। নীলাদ্রি ভক্ত নিবাসে একটি করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে মৃদু আক্রান্তদের চিকিৎসা হবে। আর যারা গুরুতর আক্রান্ত হবেন, তাদের নিয়ে যাওয়া হবে ভুবনেশ্বরে চিকিৎসা করানোর জন্য।” জানা যাচ্ছে, এই ৫০ জন সেবাইত হরিদ্বারে কুম্ভ মেলায় গিয়েছিলেন। তারপর থেকেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ধীরে ধীরে করোনা ভাইরাসের ঘটনা বাড়তে শুরু করেছে।
পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ, শনিবার দিন পুরীতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯৪ জন। এই পরিস্থিতির কথা বিচার করে রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যারা যারা এই মন্দিরে কাজ করেন তাদের সকলকে মাক্স পড়তে হবে এবং হাতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। তাদের সকলের ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা করা হবে। যারা যারা জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার রথ তৈরি করেন তাদেরকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তার সাথেই, ভুবনেশ্বর লিঙ্গরাজ মন্দির বন্ধ থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য।