খুনের মামলা দায়ের করা উচিত, করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে ভৎসনা মাদ্রাজ হাইকোর্টের
২ মে এর মধ্যে কোভিড বিধি অনুযায়ী ভোটগণনার ব্যবস্থা না হলে তা স্থগিত করা হবে
চলতি বছরের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ধীরে ধীরে করোনার সংক্রমণ গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। নয়া মিউট্যান্ট স্ট্রেন আগের তুলনায় অনেক বেশি ভয়াবহ। এতে একদিকে যেমন সংক্রমণ বেড়ে গেছে ঠিক তেমনি অন্যদিকে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুহার। গোটাদেশে শুধুমাত্র শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনা সংক্রমণ হয়েছে সাড়ে ৩ লাখের কাছাকাছি। বেহাল অবস্থা গোটা দেশের। এত সংখ্যক আক্রান্ত হওয়ায় পাওয়া যাচ্ছে না রোগীদের জন্য বেড। অভাব দেখা গেছে অক্সিজেনের। এই পরিস্থিতির জন্য মাদ্রাজ হাইকোর্ট কাঠগড়ায় তুলল ভোট পরিচালনা ও রাজনৈতিক সভার অনুমোদন দেওয়া নির্বাচন কমিশনকে।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় সেন্থিলকুমার রামমূর্তি আজ জানিয়েছেন, “ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এমন ভয়াবহ অবস্থার জন্য শুধুমাত্র দায়ী নির্বাচন কমিশন। তাদের আচরণে দায়িত্ব জ্ঞানের অভাব ছিল। কোভিড বিধি মেনে চলার আদেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলি অন্যথা করলেও নির্বাচন কমিশন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।” এছাড়াও আজ মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বলেছেন, “আপনাদের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের ধারায় মামলা করা উচিত।”
এখানেই শেষ নয়। মাদ্রাজ হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে যে আগামী ২ মে এরমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে কোভিড বিধি মেনে ভোটগণনা করার ছক করতে হবে। আর যদি না করতে পারে তাহলে ভোটগণনা স্থগিত করে দেওয়া হবে। এছাড়াও হাইকোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “কোভিডের মাঝে এমন ভাবে নির্বাচন খুবই হতাশাজনক। সাংবিধানিক একটি সংস্থাকে মনে করিয়ে দিতে হচ্ছে জনস্বাস্থ্যের কথা। ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক।”