করোনা ভাইরাস প্যানডেমিক জাঁকিয়ে বসেছে ভারতবর্ষের বুকে। দ্বিতীয় ঢেউতে রীতিমত দিশেহারা হয়ে পড়েছে গোটা দেশবাসী। সংক্রমনের দৈনিক গ্রাফের গগনচুম্বী রূপ বুঝিয়ে দিচ্ছে ভারতের পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ। গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৩ লাখের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেছে। এই মুহূর্তে দেশবাসীর কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন যে সরকার কি করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে গত বছরের মতো আবার সম্পূর্ণ লকডাউন করবে? সম্পূর্ণ লকডাউন করার ব্যাপারে কার্যত দুই রকম মন্তব্য শোনা যাচ্ছে। লকডাউন হবে কি হবে না, কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
কেউ কেউ মনে করছেন যে গত বছরের মতো লকডাউন না করলে এই সংক্রমণে বাঁধ দেওয়া যাবে না। বর্তমানে পরিস্থিতি মত সংক্রমণ বাড়তে থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই ভয়াবহ অবস্থার সম্মুখীন হতে হবে ভারতকে। তবে কেন্দ্র সরকারের এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ লকডাউন করার কোন ইচ্ছা নেই। তাদের দাবি যে গত বছরের মতো লকডাউন করলে ফের দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো ভেঙে যেতে পারে। তাই কিছু কিছু বিশেষজ্ঞের মতে যেসব জায়গায় খুব বেশি ভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে শুধুমাত্র সেখানে লকডাউন প্রয়োজন আছে। এই প্রসঙ্গে বেঙ্গালুরু লাইভ কোর্স এপিডেমিওলজি প্রধান অধ্যাপক গিরিধর বাবু জানিয়েছেন, “দেশজুড়ে লকডাউন করে কোন সমস্যার সমাধান হবে না। বরং আমাদের সংক্রমনের এপিসেন্টার খুজে সেই সমস্ত এলাকায় লকডাউন করতে হবে।”
এছাড়াও দিল্লির ওয়েলকাম ট্রাস্ট ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্সের ভাইরোলজিস্ট শাহিদ জামিল জানিয়েছেন, “দেশজুড়ে লকডাউন করে কোন লাভ হবে না। লকডাউনের সংক্রমনের গতি কমে কিন্তু সংক্রমণ থেমে যায় না। যে সমস্ত জায়গায় বেশি করে সংক্রমণ হচ্ছে সেখানে বেশি করে লকডাউন করতে হবে।” অন্যদিকে কর্ণাটক সরকারের কোভিড টাস্কফোর্সের এক সদস্য জানিয়েছেন, “নিখুঁত পরিকল্পনা ছাড়া লকডাউন করলে বিশাল সমস্যায় পড়তে হতে পারে ভারতকে। আর লকডাউন হলে ভ্যাকসিন বিতরণ পরিষেবা ব্যাহত হবে।”