করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই দৈনিক সংক্রমণ প্রায় সাড়ে ৩ লাখের গণ্ডি স্পর্শ করেছে। করোনার নতুন মিউট্যান্ট স্ট্রেনে সংক্রমণ এবং মৃত্যুহার উভয় লাফিয়ে বাড়ছে। গোটা দেশে হাসপাতালে বেড পাওয়া যাচ্ছে না। অক্সিজেনের অভাবে ধুঁকছে একাধিক রাজ্য। কোন কোন রাজ্যে অক্সিজেনের ঘাটতির জন্য মৃত্যু হচ্ছে করোনা রোগীদের। গোটা দেশের পাশাপাশি বেহাল অবস্থা বাংলাতেও। দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ ১৪ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বাংলার ভবিষ্যৎ নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছে রাজ্যবাসী।
এরইমধ্যে জানা যাচ্ছে বর্ধমানের কালনা মহকুমা হাসপাতালে শেষ হয়ে গেছে করোনা পরীক্ষা করার কিট। একাধিক মানুষ হাসপাতালের বাইরে গত তিনদিন ধরে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও হচ্ছে না করোনা পরীক্ষা। অনেকেই নিরুপায় হয়ে ফিরে যাচ্ছে। লাইন দেওয়া রোগীদের মধ্যে অনেকেই জানিয়েছেন যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে যে শুধুমাত্র ভর্তি হলে করোনা পরীক্ষা হবে। আউটডোরে করোনা পরীক্ষা করা যাবে না। আবার অনেকে বলেছে করোনা পরীক্ষার কিট নেই। বর্ধমান থেকে আসছে না। তাই এখন পরীক্ষা করানো যাচ্ছে না।
এক কথায় বলতে গেলে করোনা অ্যাক্টিভ কেস এক ধাক্কায় বেড়ে যাওয়ায় রীতিমতো ভেঙে পড়েছে রাজ্য স্বাস্থ্যব্যবস্থা। বিভিন্ন জেলাতে হাসপাতালে তিল ধারণের জায়গা নেই। এক বেডে ৩-৪ জন করে ভর্তি আছে। একইভাবে কালনা মহকুমা হাসপাতালে কলকাতা বা বর্ধমান থেকে কোন টেস্ট কিট যাচ্ছে না। তাই তাদের হাতে গোনা যে কয়টি কিট আছে তা দিয়ে তারা ইমারজেন্সিতে ভর্তি হওয়া রোগীদের পরীক্ষা করছে।