নন্দীগ্রামে আদৌ কে জয়লাভ করেছেন সেটা নিয়ে এখনও বেশ দ্বন্দ্ব রয়েছে। সন্ধ্যার দিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হার স্বীকার করে নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। প্রথমদিকে শুভেন্দু অধিকারী জিতছিলেন নন্দীগ্রামে। কিন্তু তারপর ব্যবধান কমিয়ে এগিয়ে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটা সময় ছিল যখন শুভেন্দু অধিকারী অনেকটা পিছিয়ে পড়েছিলেন। ঘোষণাও হয়ে গেল মমতা ১২০০ ভোটে জিতে গিয়েছেন নন্দীগ্রামে। কিন্তু তারপর প্রথমে অমিত মালব্যা টুইট করে বলেন মমতা নয় নন্দীগ্রামে জয়লাভ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয় নন্দীগ্রামে জিতেছেন শুভেন্দু। যদিও সেই নিয়ে এখনও দ্বন্দ্ব রয়েছে, কিভাবে একটা ঘোষণার পরে পাল্টে যেতে পারে রায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকে হেরে গেলেও ২১৩ আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যে ঘাসফুল শিবির দাপটে পারফরম্যান্স করেছে। সেই নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় কালীঘাটে একটি সাংবাদিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বললেন, “নন্দীগ্রামের জন্য চিন্তা করবেন না। একটা জিনিস মনে রাখবেন, লড়াইয়ের জন্য আপনার কিছু উৎসর্গ করতে হয়। আমি নন্দীগ্রামের জন্য লড়াই করেছি। আমি একটা আন্দোলন চালিয়েছি। নন্দীগ্রাম যে রায় দিয়েছে, তা আমি স্বীকার করেছি। এটা শুধুমাত্র একটা ম্যাচ ছিল।”
এছাড়াও একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘কোন কনফিউশন নেই, বরং ভালই হয়েছে। না হলে বারবার অতদূর যেতে হতো। ভালোই হলো। মানুষ যা করেছেন ভালোর জন্যই করেছেন। আমি তাদের সেলাম জানাতে চাই। তারা যে রায় দিয়েছেন তা ঠিক আছে। আমার কাছে খবর আছে জয়ের বিষয়ে ঘোষণা করার পরে কিছু কারচুপি করা হয়েছে। এই নিয়ে আমরা কোর্টে যাব। কি সেই কারচুপি আমরা খুঁজে বের করবো। পর্যালোচনা করব।’