একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনী ফলপ্রকাশে মমতা ম্যাজিক কাজ করেছে গোটা বাংলায়। মমতা সরকার ২১৩ আসন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। অন্যদিকে বিজেপির বিজয়রথ থেমে গেছে ৭৭ আসনেই। তবে ভোটের ফল প্রকাশের পর রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত অশান্তি এবং ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন অনেকেই। এবার তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ জানিয়েছে যে বিজেপির নেতাদের কিছু অসংগত বক্তৃতার জন্য বাংলায় অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সেই ভিত্তিতে মানিকতলা থানায় বিজেপির তারকা ভোট প্রচারক মিঠুন চক্রবর্তী ও বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর জমা করা হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে যে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ একাধিক জায়গায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে ভোট-পরবর্তী হিংসার রাজনীতির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি কোথাও গিয়ে বলেছিলেন যে “বদল নয়, বদলা চাই।” আবার কোথাও গিয়ে বলেছিলেন যে “ভোটের পর আমরা মারবো, ওরা গুনবে” ইত্যাদি। এইসব বলার ফলেই বাংলায় অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারা জানিয়েছে যে বিজেপি যে সমস্ত অঞ্চলে জিতে গেছে সেই সমস্ত অঞ্চলে তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চলছে।
অন্যদিকে বিজেপি তারকা ভোট প্রচারক মিঠুন চক্রবর্তীর বক্তৃতায় অসঙ্গতির কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল বলেছে যে একাধিক ফিল্মি ডায়লগ দিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী রাজ্য অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন। আসলে ভোট প্রচার করতে গিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী একাধিক জায়গায় গিয়ে বলেছেন, ‘জলঢোড়াও নই, বালিবোড়াও নই। আমি জাত গোখরো। এক ছোবলেই ছবি!’ কোথাও বলেছেন, ‘মারবো এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে।’
এই সমস্ত বক্তৃতার জন্য রাজ্যে অশান্তি ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এইজন্য যুব তৃনমূলের সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় পাল মানিকতলা থানায় দিলীপ ঘোষ এবং মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ ঘোষণা করেছেন যে ভোট-পরবর্তী হিংসায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের জাতি-ধর্ম মতাদর্শ ও রাজনীতি নির্বিশেষে ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।