সুযশ চাংকি পান্ডে দুই দশক ধরে বলিউডে একের পর এক সিনেমায় কাজ করেছেন। তিনি এখনো পর্যন্ত ৮০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। ১৯৮৭ সালে সিনেজগতে পা রাখেন। চাঙ্কির অভিনীত প্রথম সিনেমা হল আগ হি আগ। এই সিনেমাতে সেভাবে পরিচিতি না পেলেও এরপর অনিল কাপুরের ‘তেজাব’ সিনেমাতে সহ অভিনেতা হিসেবে অভিনয় করেছেন তিনি। এরপরই তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। বেশিরভাগ সিনেমাতে চাঙ্কি কমিক চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছেন।
চাঙ্কি ইন্দো-ইতালীয় চলচ্চিত্র “আখিরি পাস্তা” যেখানে একটি স্মরণীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন চাঙ্কি এবং ২০১০ সালের সুপার কমেডি হিট হাউজফুল সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি সমালোচক এবং দর্শকদের দুই প্রশংসা অর্জন করেছেন । অনেক হাসির অনুষ্ঠানেও চাঙ্কির উপস্থিতি দেখা গিয়েছে।
বর্তমানে একটি ট্রেন্ড আছে, বড় বড় ব্যবসায়ীদের
বিয়েতে উপস্থিত হওয়ার জন্য টাকা নিয়েছেন তারকারা। তবে এটা কোনোদিন শুনেছেন কেউ মারা গেলে সেই শোকের বাড়িতে কোনো সেলিব্রেটিকে টাকার বিনিময়ে কাঁদার প্রস্তাব? তাও আবার ১০ হাজার বা ৫০ হাজার টাকা নয়। একেবারে ৫ লক্ষ টাকা। হ্যাঁ অবাক লাগলেও এটাই সত্যি! এমনই ঘটেছিল কমিডিয়ান অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডের সঙ্গে।
একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে অভিনেতা চাঙ্কি জানিয়েছিলেন এইরকম এক মজাএ অভিজ্ঞতার কথা। এক বড ব্যবসায়ী পরিবারের কাছ থেকে এই রকম উদ্ভট প্রস্তাব পেয়েছিলেন অভিনেতা। তাঁকে বলেছিলেন, তাঁরা নাকি প্রচুর টাকার দেনার দায়ে ডুবে। সেই পরিবারের এক সদস্যের সৎকারে অনেক পাওনাদাররাও থাকবেন। সেই ব্যক্তি মারা যাওয়ার আগে টাকা ধার নিয়েছিল। টাকা শোধ করতে না পেরে সেই পরিবারের লোকজন পাওনাদারদের বলেছিলেন, বেশ কিছু নতুন ছবিতে টাকা ঢেলেছেন তাঁরা। ছবির ব্যবসায় লাভ হলে টাকা ফেরত দিতে পারবেন তাঁরা। ফলে খানিক সময় পাওয়া যাবে।
তাই তাঁরা অভিনেতার কাছে আর্জি করেন যদি তিনি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে একটু কান্নাকাটি করেন, তবে সেই পাওনাদার তাঁদের কথা বিশ্বাস করবেন। আরও কয়েক জনকে ডাকার কথা বলেন। এমন প্রস্তাব শুনে অভিনেতার প্রায় অজ্ঞান হয়ে যাওয়া দায়। এরপর অভিনেতক চাঙ্কি বলেন, তিনি ছবিতে অভিনয় করতে চেয়েছিলেন কোনো সৎকারে অভিনয় করতে হবে তিনি ভাবেননি।
তবে অভিনেতা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে সেই প্রস্তাব ফেরালেও অভিনেতার এক বন্ধু তাঁর জায়গায় গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর পরিবর্তে কে গিয়েছিল তা তিনি উল্লেখ করেননি। আর সেই সময় ৫ লক্ষ টাকা কিন্তু কম টাকা ছিলনা তাই সে বারণ করেনি। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে সেই ব্যক্তি কেঁদেছিলেন। তবে চাঙ্কি সেই ব্যক্তির থেকে সেই ৫ লক্ষ টাকার কোনো ভাগ নেননি। তবে টাকার বিনিময়ে কাঁদার প্রস্তাব তিনি কোনোদিন ভুলতে পারবেননা এও জানান।