‘মা তারা’ থেকে দর্শকদের ঘরের মেয়ে নবনীতা, রইল অভিনেত্রীর আসল পরিচয়
ছোট খাটো সুন্দরী মেয়ে হলেই মনে হয় আহা লক্ষ্মীশ্রী কেমন উপচে পড়ছে। কিন্তু সব মেয়েকেই কি লক্ষ্মী হয়ে থাকতে হবে? যদি সকলেই লক্ষ্মী হন তবে মা তারা বা মা ভবতারিণী কে হবেন? মেয়েরা মানেই সে মায়ের জাত, আর তাই সে হতেই পারে লক্ষ্মী কিংবা কালী। সেরকমই ছোট্ট মিষ্টি মেয়ে নবনীতা দাস বাস্তবে লক্ষ্মী হলেও পর্দায় সে মা তারা। যার প্রচণ্ডতায় সমস্ত পাপীরা ধূলিসাৎ হয়ে যায়।
হ্যাঁ, মহাপীঠ তারাপীঠ ধারাবাহিকের মা তারার ভূমিকায় অভিনয়ের দৌলতে নবনীতা দাস এখন একজন পরিচিত মুখ। ৫১ পীঠের একপীঠ বলা হয় তারাপীঠকে। কথিত আছে সতীর তৃতীয় নয়ন পড়েছিল এই স্থানে, তাই তারাপীঠ সিদ্ধপীঠ। কালীসাধক বামাক্ষ্যাপা এই স্থানেই সাধনা করেছিলেন।
নবনীতা আজ দর্শকদের ড্রয়িং রুমের মা তারা হলেও বাস্তবে সে জিতু কমলের লক্ষ্মীমন্ত বউ। এখন সে জানে কিভাবে হাতের তালুতে ঝোল নিয়ে চেখে নুন মিষ্টি দিতে হয়, এখন সে জানে সংসার কিভাবে আগলাতে হয়। কে বলেছে কালী শুধু ধ্বংসের প্রতীক? তিনিও যে আদপে শিবের ঘরনী, জগৎ সংসারের মা।
২০১৮ সালে অর্ধাঙ্গিনী ধারাবাহিকে অভিনয় করার সময়ই অভিনেতা জিতু কমলের সঙ্গে আলাপ হয় নবনীতার। সেখানই থেকে বন্ধুত্ব। জিতুর সঙ্গে বিয়ে করেন নবনীতা ২০১৯ এ। দুবছরের দাম্পত্য সুখের সাগরের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। অভিনেতা জিতুকে অনেকেই চেনেন নিশ্চয়। কারণ, তিনি ‘রাগে অনুরাগে’, ‘মিলন তিথি’, ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’ সহ একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন।
ছোট পর্দায় ‘অর্ধাঙ্গিনী’ ধারাবাহিকে ঈশ্বরীর চরিত্রে দেখতে পান দর্শকরা নবনীতাকে। প্রশংসা পান তিনি ওই চরিত্রে। এছাড়াও নবনীতার সঙ্গে দর্শকের প্রথম পরিচয় হয় ‘দীপ জ্বেলে যাই’-এর দিয়ার চরিত্রের মাধ্যমে। এরপরেই দর্শকদের ঘরের মেয়ে হয়ে ওঠেন তিনি। এখনও দর্শকদের আগলে রাখেন মা তারার চরিত্রের মধ্যে দিয়ে।
ইন্ডাস্ট্রিতে নবনীতা দাস মানেই একটু খামখেয়ালি। জিতু তো বিবাহ বার্ষিকীর কেকে লিখেই দেন Happy anniversary angry lady. সত্যি কি নবনীতা রাগী? তার উত্তর নবনীতা ভালো দিতে পারবেন। তবে ঘুরতে পছন্দ করেন, শুটিংয়ের ফাঁকে গল্প লিখতে পছন্দ করেন। একবার নবনীতা একা একা কালিম্পং চলে গিয়ে ছিলেন, তখন তার বয়স মাত্র ১৫। এখনও বন্ধুরা বেড়াতে গেলে তাঁদের দলে ভিড়ে যান। পড়াশুনোতেও চমৎকার নবনীতা। ভূগোল অনার্স নিয়ে পড়াশুনো। অভিনয়ে আসাটা নাকি নিতান্তই আচমকা। তবে তার প্রবল ইচ্ছা ছবি পরিচালনা বা চিত্রনাট্যকার হওয়ার।