জ্যাকি শ্রফ বলিউডের তাবড় তাবড় অভিনেতাদের মধ্যে জনপ্রিয় একটি নাম। দীর্ঘদিন ধরে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত আছেন জ্যাকি শ্রফ। ১৯৮৩ সালে হিরো সিনেমা দিয়ে বলিউডে পদার্পণ করেন জ্যাকি। এরপর একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। এখনো জ্যাকি অভিনয় করে চলেছেন। জ্যাকির স্ত্রী আয়েশা শ্রফও যুক্ত বলি ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে। অভিনেতার ছেলে টাইগার শ্রফও পখ রেখেছেন বলিউডে। অন্যদিকে তাঁদের মেয়ে কৃষ্ণা শ্রফ এশিয়ান অ্যাকাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশনের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ক্লাবের সদস্যা। এখন এই শ্রফ পরিবারটিকে ফিল্মি পরিবারই বলা যেতেই পারে।
কিন্তু যথেষ্ট সফল অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও একদিন এই অভিনেতাকে বিপুল আর্থিক সঙ্কটে ভুগতে হয়েছিল । এমন পরিস্থিতি হয়েছিল পরিবারের সবার মুখে খাবার তুলে দিতে বাড়ির আসবাবপত্র পর্যন্ত বেচতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। ছোট্ট ছেলে টাইগারকে নিয়ে পথে বসার জের হয়েছিল অভিনেতার। সেই কঠিন সময়ের কথা এবার উঠে এসেছে ছেলে টাইগারের মুখে।
টাইগার এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘বুম’ ছবিটি পরিচালনা এবং প্রযোজনার দুই দায়িত্বে ছিলেন জ্যাকি পত্নী আয়েশা। এই ছবির মাধ্যমেই বলিউডে পা রাখেন ক্যাটরিনা কাইফ। এই ছবিতে অমিতাভ বচ্চনও ছিলেন। কিন্তু এই ছবি মুক্তির পর বক্স অফিসে হিট তো হয়নি রীতিমতো ভরাডুবি হয় ছবিটির। পুরো ফ্লপ হয়েছিল বুম। এর পরই শ্রফ পরিবারের উপরে নেমে আসে এক বড় ঝড়।
সেই সময়টা টাকার যোগাড় করতে বাড়ির সব আসবাপত্র বেচে দিয়েছিলেন জ্যাকি। টাইগার আরো বলেন, এতটাই খারাপ সময় ছিল যে রাতে বা শোওয়ার জন্য বিছানা ছিল না। টাকার জন্য বিছানাও বিক্রি করে দিয়েছিলেন জ্যাকি। মাটিতেই শুতেন সবাই। সেই সময় টাইগারের বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর। সেই সময়ই বাবার স্ট্রাগেল চোখের সামনে দেখেন।
তবে তাঁর পিতা সহজে হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্র ছিলেননা। ফের কঠোর পরিশ্রম করে নিজের অদম্য বিশ্বাসে পুরোনো সব ফিরিয়ে এনেছিলেন। পথে নেমে আসার পর সেই সময় জীবনের কঠিন সময়ের মানে বুঝতে পেরেছিলেন অভিনেতা। এরপর লড়াই করে জীবনে দ্বিতীয় বার মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিলেন। আর আজ নিজে সাক্সেসফুল তো হয়েছেন সাথে অভিনয় জগতে সাফল্য পেয়েছেন টাইগারও।