একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার আশা থাকলেও তৃণমূল কংগ্রেস বড় ব্যবধানে বিজেপিকে পিছনে ফেলে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মসনদে বসেছে। তবে ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এই নির্বাচনে গেরুয়া শিবির ৭৭ আসনে জিততে পেরেছে। ইতিমধ্যেই ৭৭ বিজেপি বিধায়ক হেস্টিংস ভবনে গিয়ে শপথগ্রহণ করেছেন। তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে নবনির্বাচিত বিধায়কদের সুরক্ষার কি হবে? এই বিষয়ে আজ সোমবার বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রক্রিয়া জানানো হয়েছে যে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী বিজেপি বিধায়কের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে পরাজিত বিজেপি প্রার্থীরা তাদের নিরাপত্তার মেয়াদ বাড়াতে পারে। আসলে পদ্ম শিবির নির্বাচন লড়ার আগে প্রত্যেক প্রার্থীকে কেন্দ্র নিরাপত্তা দিয়েছিল যা ১০ মে প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে এই বিষয়ে ভেবে দেখার অনুরোধ করা হয়েছিল। তাতে সাড়া দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তারা জানিয়েছে যদি কোন বিধায়ক নিরাপত্তা না নিতে চান সেক্ষেত্রে নাও নিতে পারে। কিন্তু সবাই নিরাপত্তা পাওয়ার বিষয়ে কোনো আপত্তি করেনি।
ভোট-পরবর্তী হিংসাতে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ১৬ জন মানুষ। কাজের মধ্যে রয়েছে তৃণমূল কর্মী, বিজেপি কর্মী এবং পাশাপাশি একজন আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বাংলায় এসে নিহতদের পরিবারের সাথে দেখা করেছিলেন। মমতা সরকার অন্যদিকে নিহতদের পরিবারের সরকারি চাকরি এবং ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। তবে এবার বঙ্গ বিজেপির বিধায়কদের রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা থাকলেও তারা তার ওপরে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিতে চায়।













A$AP Rocky Appears to Confirm Marriage to Rihanna, Calls Himself a ‘Loving Husband’