গত বছর থেকে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি বেশ জটিল। আগের বছর থেকে এই কঠিন পরিস্থিতিতে বরাবরই সক্রিয় থেকেছেন অভিনেতা তথা ঘাটালের সাংসদ দেব। সাধ্যমত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। নেতা বা হিরো হিসেবে নয় একজন মানুষ হিসেবে পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে নাজেহাল গোটা রাজ্য। দিন দিন রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজারের কাছাকাছি। সম্প্রতি করোনা আক্রান্তদের পাশে থাকছেন অভিনেতা। এই লকডাউনে ফের এক অসহায় ব্যক্তির পাশে দাঁড়ালেন দেব।
ছোট্ট বাচ্চা মেয়ে তিতলি, চূচাড়ার বাসিন্দা। ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। বাবা কঠিন অসুখে ভুগছে। বাবাকে বাঁচাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদন করেলেন তিতলি। একটি ভিডিও তৈরি করেন, আর সেই ভিডিয়োতে বাবার অসুখের কথা বলেন। প্রথমেই বাচ্চা মেয়ে বলে ওঠে ‘আমার বাবাকে একটু বাঁচাবে। আমার বাবা ছাড়া আর কেউ নেই।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিয়োটি দেখে কেঁদে ওঠে অনেকেই। এই ভিডিয়োটি চোখে পড়ে দেবের।
চুঁচুড়া অন্তার বাগানের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকে তিতলি ও তাঁর পরিবার। বাবার নাম সন্দীপ দত্ত।পেশায় তিনি সেলসম্যান। প্রথমে সন্দীপ বাবুর প্যানক্রিয়াসের সমস্যা ধরা পরে। হাই সুগার থাকায় কিডনি আর লিভারে সমস্যা তৈরী হয়৷ বাবার চিকিৎসা করাতে ব্যাঙ্গালোরে নিয়ে যান। প্যানক্রিয়াস অপারেশন করাতে দরকার সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা সেই চিকিৎসার টাকা না থাকাতে চুঁচুড়াতে ফিরে আসেন সন্দীপ বাবু। কিছু মানুষের সাহায্য পাওয়ার পর এইবছর মার্চ মাসে হায়দ্রাবাদে চিকিৎসা করাতে যান। তবে সেখানে গিয়ে অস্ত্রোপচার করালেও সন্দীপ বাবু সুস্থ হবে কিনা তার ও কোনো নিশ্চয়তা নেই।
এরপর আবার কলকাতায় ফিরে আসেন। কলকাতার শিশু মঙ্গল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তিতলির বাবাকে। সুগার হাই হয়ে যাওয়ায় কোমরের নীচে ইনফেকশান হয়ে যায়। আবারো অস্ত্রোপচার করতে হবে। বর্তমানে বিছানায় এখন শয্যাশায়ী সন্দীপ বাবু। ফের লকডাউন রাজ্যজুড়ে এই সময় বাড়িতে এই পরিবারে খাওয়ার তুলে দেওয়ারও নেই কেউ, এই সময় ওষুধ কেনাও কঠিন হয়ে গিয়েছে তিতলির মা মুনমুন দেবীর কাছে
এই ভিডিও শেয়ার হতেই দেব সাথে সাথে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। টুইট করে তিনি নিজের পরিবারকে সাহায্য করার কথা জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিতলির এই আবেদনে সাহায্য জানিয়েছেন বহু মানুষ। ইতিমধ্যে অভিনেতার টিমের তরফ থেকে তিতলির মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এছাড়াও এগিয়ে এসেছে এক শিক্ষক সংগঠন ও। তিতলির বাবার সুস্থতা কামনায় এখন ভরে গিয়েছে তিতলির সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল।
My team is already coordinating with the family..Thanku Nilonjit for the news ?? https://t.co/JoLEDe01im
— Dev (@idevadhikari) May 16, 2021
Copy