জন্মেছিলেন একসাথে, মৃত্যুও একসাথে! করোনা-যুদ্ধে হার মানলেন যমজ দুই ভাই

জন্ম একসাথে, আর চলে গেলেনও একসাথেই। এমনি একটি হৃদয় বিদারক ঘটনার সাক্ষী রইলো উত্তরপ্রদেশের মিরাট। ১৯৯৭ সালের ২৩ এপ্রিল মিরাটের ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাসিন্দা গ্রেগরি রেমন্ড রাফেলের বাড়িতে জন্ম নিলেন দুই…

Avatar

By

জন্ম একসাথে, আর চলে গেলেনও একসাথেই। এমনি একটি হৃদয় বিদারক ঘটনার সাক্ষী রইলো উত্তরপ্রদেশের মিরাট। ১৯৯৭ সালের ২৩ এপ্রিল মিরাটের ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাসিন্দা গ্রেগরি রেমন্ড রাফেলের বাড়িতে জন্ম নিলেন দুই যমজ সন্তান। অবিকল একই রকম দেখতে দুই পুত্র সন্তানের মুখ দেখে সেদিন আনন্দে আত্মহারা গ্রেগরি।

দুই পুত্রের নাম রাখলেন জফ্রেড ভারগিস গ্রেগরি এবং রাফ্রেড জর্জ গ্রেগরি। বাবা এবং মা দুজনেই শিক্ষক এবং শিক্ষিকা। তারা দুজনে অনেক কষ্ট করেই এই দুই ছেলেকে মানুষ করলেন। কিন্তু মাত্র ২৪ বছর বয়সেই তারা দুজনে একসাথে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন। দুই ভাইয়ের পড়াশনাও একই জায়গায় ছিল। দুই ভাই একসাথে হায়দ্রাবাদে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ছিলেন।

এতদিন পর্যন্ত সবকিছু ঠিক, কিন্তু ২৪ এপ্রিল ছিল গ্রেগরি পরিবারে নেমে এল বিপদ। আর বিপদের নাম সেই মারণ ভাইরাস করোনা। জানা যায়, দুজনের শরীরেই বাসা বেধেছে মারণ ভাইরাসটি। বাবা এবং মা জানালেন, তাদের দুজনের বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা হচ্ছিল। কিন্তু শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটা কমে যাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দুজনকে। তারপর দুই ভাইয়ের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

পরিবার অত্যন্ত খুশি, কিন্তু হঠাৎ করে আবার ১৩ মে বিপদ নেমে আসে পরিবারে। আচমকাই প্রান হারালেন এক ভাই। আরেকজনকে মৃত্যু সংবাদ জানানোর সময় টুকুই পাওয়া গেলনা। তার মধ্যেই আরেক ভাই করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন। মাত্র ১৪ ঘন্টার ব্যবধানে দুই ভাইয়ের প্রাণ যাওয়ায় একেবারে শোকে পাথর বাবা মা।