সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর হার কিন্তু একই রকম রয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দপ্তর এর রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ১৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে। সাথেই যেখানে আক্রান্তের হার পৌঁছে গিয়েছিল ২১,০০০ সেখানে এখন আছে ১৯,০০০ এর কাছাকাছি। ফলে কার্যত লকডাউন কার্যত সফল। বর্তমানে পজিটিভিটি রেট আছে ২৭ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন দ্বিতীয় ঢেউকে প্রতিহত করার জন্য একমাত্র পথ ভ্যাক্সিনেশন। তারই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করলেন, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি যে নীতি নিয়ে ভ্যাক্সিনেশন করতে শুরু করেছেন তাতে মোটামুটি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি যে নীতি নিয়ে ভ্যাক্সিনেশন করতে শুরু করেছেন তাতে মোটামুটি আরো দশ বছর লেগে যাবে সকলের ভ্যাক্সিনেশন করতে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার কথাগুলি বলার জন্য আগ্রহী ছিলেন।
কিন্তু মমতা অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী কাউকে কিছু বলার সুযোগ দেননি। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটাকে ফ্লপ ক্যাজুয়াল বৈঠক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, “ভেবেছিলাম ভ্যাকসিন নিয়ে কথা বলবো। ভ্যাকসিন চাইবো। কিন্তু সেই সুযোগ আর পেলাম কই। প্রধানমন্ত্রী এত ইনসিকিউরড কেন? মুখ্যমন্ত্রীদের কথা কেন শুনতে চান না?”
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাসের আক্রমণের সংখ্যা কিছুটা আশার আলো যুগিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত একদিনে রাজ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯,০৯১ জন। তবে বাংলায় উদ্বেগ বাড়ছে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা। গতকাল পর্যন্ত কনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ছিল দৈনিক ১৫৭। কিন্তু আজকে সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৬২ তে। ফলে চিন্তায় আছে রাজ্য সরকার।