লকডাউনে মুম্বাইের সমুদ্রতটে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ছে গোলাপী ফ্লেমিংগো পাখি
করোনার কারণে যখন সকলেই বাড়িতে বসে আছেন, তখন নিজেদের মত জীবন কাটাতে পারছে অবলা প্রাণীরা
আগের বছর মোটামুটি এই সময় নাগাদ শুরু হয়ে গিয়েছিল সারা ভারতব্যাপী লকডাউন। সমস্ত মানুষ ছিলেন বাড়িতে বসে। একবছর পরে আবারও করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে বাড়িতে বসে রয়েছেন মানুষ। তাতে আর কারোর ভালো হোক না হোক, অবলা প্রাণীদের অনেক লাভ হয়েছে। তারা মানুষের অত্যাচার থেকে দূরে নিজেদের মত করে জীবন কাটাতে পারছে।
লকডাউন পরিস্থিতিতে মানুষের দৌরাত্ম্য থেকে মুক্তি পেয়ে আপন খেয়ালখুশিতে থাকতে শুরু করেছে এইসব প্রাণী, এবং পাখিরা। কিছুদিন আগেই মুম্বাইয়ের সমুদ্রে দেখা পাওয়া গেছিল ডলফিনের। পাশাপাশি, চন্ডিগড় এর একটি বস্তিতে সম্প্রতি দেখা গেছে চিতাবাঘকে ঘোরাঘুরি করতে। নেপালের রাস্তায় দেখা মিলেছে একশৃঙ্গ গন্ডারের। আর এবারে নভী মুম্বাইয়ের একটি উপকূলের কাছে এসে ঘাঁটি গেড়েছে একদল গোলাপি ফ্লেমিংগো পাখি।
নতুন মুম্বাইয়ের বৃহৎ জলাশয়কে ঘিরে সাদা এবং গোলাপী রঙের এই পাখি আস্তানা নিয়েছে। আর এই পাখিকে ক্যামেরাবন্দি করার লোভ সামলাতে পারছেন না অনেকেই। যারা আশেপাশে থাকেন, তারা একাধিকবার পাখি দেখতে গিয়েছেন ইতিমধ্যেই। নেরুলের সিউড কমপ্লেক্সের বাসিন্দা এরকম একটি বিরল ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
ওই ছবিতে দেখা গিয়েছে মানুষের চলাচল বন্ধ থাকার কারণে নভি মুম্বাই-র ওই জলাশয়কে কেন্দ্র করে কয়েকশো ফ্লেমিংগো পাখি এসে হাজির হয়েছে। এগুলো মূলত পরিযায়ী পাখি। আগের বছরও এই পাখিগুলি এখানে এসেছিল। জলাশয়-র অধিকর্তারা বলছেন আগে বছর থেকে এই পাখিগুলি এখানে আসতে শুরু করেছে। অনেকেই অনুরোধ করেছেন, যেন এই এলাকাটিকে ফ্লেমিঙ্গোর জন্য সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হোক।