খড়কুটো ধারাবাহিকে মুর্খাজি পরিবারের যৌথ পরিবারের ভালোবাসা আর গুনগুনের খুনসুটি খুব স্বল্প সময়ে বাঙালি দর্শকের প্রিয় ধারাবাহিক হয়ে উঠেছে। টিআরপিতে থাকতো প্রথম পাঁচে সর্বদা। তবে কিছু সপ্তাহ ধরে এই ধারাবাহিকেরটির টিআরপি কমতে শুরু করে। আগে ১-৩ এর মধ্যে টিআরপিতে এই ধারাবাহিকের নাম থাকতো। তবে স্টার জলসার চর্চিত এই সিরিয়াল ‘খড়কুটো’ এই সপ্তাহে সেরা পাঁচে নিজের জায়গা করতে পারলনা। টিআরপিতে জায়গা হয়েছে ষষ্ঠ স্থানে।
সম্প্রতি খড়কুটো ধারাবাহিকের চিত্রনাট্যে জোড় আনতে ধারাবাহিকে আগমন হয়েছিল ‘আগন্তুক’ আদিলের। আদিল ধর্মে মুসলিম। আদিলের সাথে মুখার্জি পরিবারে এক সম্পর্কের টান আছে। এই আদিল আসলে বড় জেঠাইয়ের বড় মেয়ে মুনিয়ার ছেলে। মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করেছিল মুনিয়া, সেটাই মুখার্জি পরিবার মেনে নেয়নি। আদিলের আসল পরিচয় অজ্ঞাত পুরো পরিভারের কাছে। পটকাই আদিলকে নিয়ে আসে মুখার্জি বাড়িতে ।
পটকার কাছ থেকে আদিলের সাথে বাড়ির সম্পর্ক জানতে পারে গুনগুন। আদিলের আগমনে সৌজন্য-গুনগুনের সম্পর্কেও বড়সড় চিড় ধরেছে। গুনগুন-আদিলের মেলামেশা ভালো চোখে দেখছে না পরিবারের বাকি সদস্যরাও। এই নিয়ে বাবিন আর গুনগুনের মধ্যে নানা ঝগড়া ঝামেলা শুরু হয়। বাবিনের সন্দেহতেই এই সম্পর্কের ফাটল শুরু। অন্যদিকে দর্শকও আদিলের গল্পে এন্ট্রি ভালো চোখে দেখছেনা। অনেকে নেট নাগরিক সোশ্যাল মিডিয়াতে দাবি করেছেন, লাভ জিহাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন এই ধারাবাহিকের নির্মাতারা।
এই লাভ জিহাদের জন্যই অনেক দর্শকের ধর্মীয় ভাবাবেগ এতে ক্ষুন্ন হতে পারে, সেই কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সিরিয়াল বয়কটেরও ডাক দিয়েছে নেট নাগরিকদের একাংশ। অনেকের বক্তব্য, যতই গুনগুন আদিলের সত্যিটা জানুক না কেন, বিয়ের পর এতটা ছেলে মানুষিও না দেখালেও হতো। আর এই মামা-মামির সম্পর্কের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে আদিলের প্রবেশ অনেকেই মানতে পারছেনা। এই আদিলের জন্যই কি আজ ধারাবাহিকের টিআরপি কমে যাচ্ছে। বাবিন আর গুনগুনের সম্পর্ক কি ঠিক হবে এটাই এখন দেখার পরবর্তী চিত্রনাট্যে।