Today Trending Newsকলকাতানিউজরাজ্য

সন্ধ্যায় চন্দ্রগ্রহণ, রাত ৯টায় ফের কোটাল, অশনি সংকেতে কাঁপছে রাজ্যবাসী

আজ রাত ৮ টা ৪৫ মিনিটে ভরা কোটাল আসবে

Advertisement

বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যবাসী আতঙ্কে আছে ঘূর্ণিঝড় যশের আস্ফালন দেখার জন্য। আজ অর্থাৎ বুধবার সকাল ৯ টায় ধামরায় ল্যান্ডফল হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের। যশ ঘূর্ণিঝড়ের আউটার ওয়াল যখন উপকূলে ঢোকা শুরু করেছে তখন থেকেই উত্তাল রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলি। সকাল থেকেই সমুদ্রের জল স্থলভাগে ঢুকতে ঢুকতে একাধিক গ্রাম জলে প্লাবিত হয়েছে। বর্তমানে ধামরা থেকে বালসোরের মাঝে এই ঘূর্ণিঝড় তান্ডব চালাচ্ছে। এটি ধীরে ধীরে পশ্চিমের দিকে এগিয়ে যাবে। যতই পশ্চিমের দিকে এগোবে ততোই কমবে ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি। তবে ঘূর্ণিঝড় যখন চক্রধরপুর বা চাইবাসার কাছে পৌঁছাবে তখন তার শক্তি থাকার দরুন পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে ঝড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টিপাতের সমূহ সম্ভাবনা আছে।

সকাল থেকেই সমুদ্রের জল স্থলভাগে প্রবেশ করেছে। একাধিক জায়গায় নদী বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে প্লাবিত হয়েছে এলাকা। তার ওপর পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর ইত্যাদি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এখানেই শেষ নয়! আজ বুধবার রয়েছে পূর্ণিমা এবং সেই সঙ্গে চন্দ্রগ্রহণ। আজ দুপুর ৩ টা ১৫ মিনিটে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হবে। চলবে সন্ধ্যে ৬ টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত। তারপর রয়েছে রাত ৯ টায় ভরা কোটাল। এই ভরা কোটালের ফলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। জোয়ারের জল গ্রাম গুলিতে প্রবেশ করলে জলস্তর অনেক বৃদ্ধি পাবে। উপকূলবর্তী নিচু এলাকাগুলি আরও উঁচু জলস্তরে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি স্পষ্ট যে ঘূর্ণিঝড় এবং ভরা কোটালের যৌথ উদ্যোগে দুর্যোগ এবং দুর্ভোগ বাড়বে উপকূলবাসীদের জন্য।

এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “ভরা কোটালের ঘূর্ণিঝড় বলেই এত ক্ষতি হয়েছে। প্রচুর গ্রাম ভেসে গিয়েছে। কালও একাধিক এলাকায় জল বাড়বে ৫ ফিট পর্যন্ত। কেউ ত্রাণ শিবির ছেড়ে বেরিয়ে যাবেন না। কালকের দিনটা যাক। তারপর ফেরার কথা ভাববেন। জল নামা দরকার। সাইক্লোন এর জল এত তাড়াতাড়ি নামা সম্ভব নয়। কেউ দরকার ছাড়া বাড়ি থেকে বের হবেন না। রাজ্য সরকার আপনাদের সঙ্গে আছে। আপনাদের আতঙ্কিত হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।”

এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, ইতিমধ্যেই ১৫ লাখ মানুষকে ত্রাণশিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ১ কোটি মানুষ এই দুর্যোগের কবলে পড়েছেন। ৩ লাখেরও বেশি মানুষের বাড়ি ভেঙেছে। ১৩৪ টা বাঁধ ভেঙেছে। এখনও অব্দি ১ জন মারা গিয়েছেন।

Related Articles

Back to top button