একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বারংবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকারের ভূমিকায় বিরোধিতার সুর তোলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি কোন বিষয়েই রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের সাথে সহমত হন না। নির্বাচনের আগে প্রচারের মঞ্চে দিলীপ ঘোষ একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে গিয়ে গলায় সুর তুলেছেন। এমনকি নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর ভোট-পরবর্তী হিংসা প্রসঙ্গ নিয়ে বারংবার মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। রাজ্য সরকারের সমস্ত সিদ্ধান্তেই খুঁত বার করার চেষ্টা করতেন তিনি। কিন্তু আজ অর্থাৎ বুধবার হঠাৎই দিলীপ ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকারের যশ মোকাবিলায় ভূমিকা নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আজ বলেছেন, “আম্ফানের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার রাজ্য সরকার যথেষ্ট তৎপরতার সাথে ভালো কাজ করেছে। তারা অনেক আগে থাকতেই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে উপকূলের মানুষকে সতর্ক করেছিলেন। অনেককেই বিপদ থেকে বাঁচাতে ত্রান শিবিরের নিয়ে গেছে তারা। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বোঝা যাবে কত পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে আপাত দৃষ্টিতে সবকিছু ঠিক হচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে।”
আজ বুধবার সকালের দিকেই বালেশ্বরে ল্যান্ডফল করেছিল ঘূর্ণিঝড় যশ। কিন্তু সকাল থেকেই দিঘা উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছিল। রাতভর বৃষ্টি হয়েছে কলকাতাসহ একাধিক জেলায়। দীঘা এবং অন্যান্য উপকূলে প্রায় ৩০ ফুট অব্দি জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। এর ফলে উপকূলের নিকটবর্তী গ্রামগুলি প্লাবিত হয়েছে। সমুদ্রতীরবর্তী প্রত্যেকটি হোটেল এখন জলমগ্ন। এমনকি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির গতকাল রাত থেকেই তদারকি করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার নির্দেশে গতকাল রাতেই বিপদজনক এলাকার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বর্তমানে ত্রান শিবিরে আছেন। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই তাদের জন্য শুকনো খাবার এবং জল পাঠিয়েছেন।