ব্যর্থ রোবট ফায়ার ফাইটার! ৩০ ঘণ্টা পরেও আগুন জ্বলছে নিউ ব্যারাকপুরের কারখানায়
গতকাল ভোররাতে নিউ ব্যারাকপুরের বিলকান্দা এলাকায় একটি গেঞ্জির কারখানা ও ওষুধের গুদামে আগুন লেগেছিল
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে নিউ ব্যারাকপুরের বিলকান্দা এলাকায় একটি গেঞ্জির কারখানা ও ওষুধের গুদামে আগুন লেগেছিল। তারপর থেকে কেটেছে প্রায় ৩০ ঘন্টা। কিন্তু এখনও নেভেনি আগুন। শহর কলকাতার কাছেই প্রায় নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। দমকল কর্মীদের সবরকম চেষ্টা বৃথা করে গতকাল ভোররাত থেকে এখনও অব্দি জ্বলছে আগুন। রোবট ফায়ার ফাইটার নামানো হলেও সেই চেষ্টা বৃথা গেছে। তারমধ্যে আশঙ্কা হয়তো ওই বিল্ডিং এর ভিতরে আটকে রয়েছে ৪ জন ব্যক্তি। তাদের কি অবস্থান বা আদেও তারা বেঁচে আছে নাকি তানিয়া সুনিশ্চিত নয় দমকল কর্তৃপক্ষ।
গতকাল আগুনের তীব্রতা দেখেই দমকলকর্মীরা বিল্ডিং এর একটি অংশ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা একটি অংশ ভেঙে ফেলে এবং জানলার কাঁচগুলি ভেঙে দেয়। কিন্তু তা সত্বেও তারা এখনো কারখানার ভেতরে ঢুকতে পারেনি। আসলে ওই কারখানাগুলিতে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুদ করা রয়েছে। তাই দাউদাউ করে সেকেন্ডের অন্তরালে আগুন বেড়ে যাচ্ছে। তবে আজ অর্থাৎ শুক্রবার সকালের দিকে দমকল কর্মীরা দাবি করেছেন যে বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। যে সমস্ত জায়গায় অগ্নি দেখা যাচ্ছে তা পকেট ফায়ার। পকেট ফায়ার নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।
আসলে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ভোররাতে নিউ ব্যারাকপুরের বিলকান্দা এলাকায় একটি গেঞ্জি কারখানা ও তার পিছনের বেসরকারি হাসপাতালের গুদামে আগুন লাগে। একদিকে গেঞ্জি কারখানার যেমন অত্যন্ত দাহ্য বস্তু ছিল তেমনি বেসরকারি হাসপাতালে গুদামে মেডিকেল সরঞ্জাম অর্থাৎ স্যানিটাইজার, বেবি ফুড, ডাইপার ইত্যাদি মজুদ ছিল। সেগুলিতে দ্রুত আগুন লেগে ছড়িয়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন সেখানে পৌঁছে যায়। গতকাল দুপুর অবদি পরিশ্রমের পর দমকল কর্তৃপক্ষ রোবট ফায়ার ফাইটার নামাতে বাধ্য হয়। এমনকি গতকাল সকাল থেকে প্রায় মাঝ রাত পর্যন্ত ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে অগ্নিনির্বাপণের তদারকি করেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
জানা গিয়েছে ওই কারখানার ভিতরে আটকে রয়েছে চার কর্মী যাদের নাম সুব্রত ঘোষ, তন্ময় ঘোষ, অমিত সেন ও স্বরূপ ঘোষ। তারা বর্তমানে কারখানার ভিতরে কি অবস্থায় রয়েছেন তা এখনো কেউ বুঝে উঠতে পারছে না। তবে তাদের মধ্যে কেউ জীবিত থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। গতকাল থেকে অগ্নির বিরুদ্ধে লড়ছে দমকলের ২৪ ইঞ্জিন। আসলে ওই কারখানাগুলিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ না থাকায় দমকল কর্মীরা অনেক বেশি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।