‘আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়বে না রাজ্য সরকার’, সরাসরি মোদিকে চিঠি মমতার
চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের একতরফা নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন
গত শুক্রবার থেকে বঙ্গ রাজনীতিতে আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে হঠাৎ করে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ডেকে নেওয়ার প্রসঙ্গ। তার হাতে মাত্র আর কয়েক ঘন্টা সময়। তার মধ্যেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তিনি দিল্লি পাড়ি দেবেন কিনা। এমনকি এরমধ্যেই নবান্ন থেকে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠানো হয়েছে যে তারা এই মুহূর্তে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ছাড়তে পারবে না। কিন্তু এই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফ থেকে আর কোন জবাব আসেনি। তাই আজ অর্থাৎ সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সরাসরি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আলাপন ইস্যুতে দীর্ঘ চিঠি লিখে পাঠিয়েছেন।
চিঠির প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে তিনি রীতিমতো হকচকিয়ে গেছেন। এরকম একতরফা বিচার মেনে নেওয়া যায় না। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই মুহূর্তে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ছাড়তে পারবেন না এবং ছাড়বেন না। রাজ্য সরকারের এই করোনা ও যশ ঘূর্ণিঝড়ের পর আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুবই প্রয়োজন। কিছুদিন আগের বর্ধিত মেয়াদের চিঠি অনুযায়ী আরও ৩ মাস মুখ্যসচিব থাকতে পারবেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে আগের প্রযোজ্য আইন অনুসারে মুখ্যসচিবের মেয়াদ বৃদ্ধি কার্যকর বৈধ করতে হবে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অনেকেই মনে করছেন কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বেরিয়ে যাওয়ায় তার সাথে এমন ব্যবহার করছে কেন্দ্র। আসলে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাকরির মেয়াদ তিন মাস বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী তার চলতি মাসে দিল্লি যাওয়ার কথা নয়। কিন্তু হঠাৎই কেন্দ্র আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়ে দিল্লিতে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। কেন্দ্র সরকারের এমন কাজ কোনভাবেই মেনে নেয়নি রাজ্য সরকার। নবান্ন থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে তারা এখন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়তে পারবেন না।