করোনা আবহে কারোর মন ভালো নেই। এ কদিনে বহু মানুষ আজ তাঁর কাছের পরিজনকে হারিয়েছেন। এই সময়ে অনেকেই একা হয়ে পড়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে ডাক্তাররা এখন পরামর্শ দিচ্ছেন,শরীরের পাশাপাশি এই কঠিন সময়ে নিজেদের মনকে ভালো রাখাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই সময়ে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলছেন বহু চিকিৎসক। তাঁরা সচেতন করার চেষ্টা করছেন। এই সময়ে মানুষকে ভালো রাখার জন্য আরও এক দারুণ পদক্ষেপ নিলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। প্রিয়জনকে হারিয়ে মন খারাপ হলে, তাদের কথা শোনার জন্য পাশে আছেন সর্বদা অভিনেত্রী ঋতাভরী। শুরু হয়েছে তাদের নতুন প্রচেষ্টা ‘হিল উইথ মি’।
দিন যত যাচ্ছে মনের কথা শোনার লোক বড় কমে যাচ্ছে।তাই এই সব ব্যক্তিদের জন্যই সহায়তা নামক এক ক্লিনিকের সঙ্গে যুক্ত হলেন ঋতাভরী চক্রবর্তী, বন্ধু রাহুল দাশগুপ্ত। মানসিকভাবে মানুষকে সুস্থ রাখার জন্য নিজে কথা বলবেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। তিনি একটি ফোন নাম্বার ও দিয়েছেন। ১৮০০২০৩৯৮৬৫ এই নাম্বারে সকলকে কল করার কথাও বলেছেন তিনি। এমন এক হেল্পলাইন নম্বর যেখানে বিনামূল্যে অভিজ্ঞ মনোবিদ এবং কাউন্সিলরদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া যাবে। ২ জুন থেকে চালু হবে এই ‘হিল উইথ মি’।
তিনি আরো বলেছেন, শুধু প্রিয়জনকে হারানো নয়, প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করতে না পেরে গৃহবন্দি থেকেও ডিপ্রেশনের শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ। এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দ্বিধা বোধ করেন অনেকেই। তবে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে একা ঘরের মধ্যে না থেকে কথা বলতে হবে অন্য মানুষের সঙ্গে, তাই মানুষের কথা শোনার জন্য তৈরি ঋতাভরী চক্রবর্তী এবং তার বন্ধু রাহুল দাশগুপ্ত। যেকোনো রকম সমস্যার কথা আলোচনা করতে পারেন তাঁর সঙ্গে।
সেই সকল অসহায় মানুষদের কথা শোনার জন্য এই নতুন প্রচেষ্টা ঋতাভরী চক্রবর্তীর। সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন অভিনেত্রী ঋতাভরী। এই সময়েও তাই নিজের মত করে মানুষের সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি মাতৃদিবসের দিন তিনি জানিয়েছেন, তিনি ৭৪ জন বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়ার মা হয়েছেন। এই সন্তানদের যাবতীয় দায়ভার নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন অভিনেত্রী। এই স্কুলের পড়ুয়াদের সুখ-দুঃখের নানা মুহূর্তের সঙ্গী ছিলেন ঋতাভরী। এদের পড়াশোনার জন্য লাইব্রেরি তৈরি করে দিয়েছেন।