সৌরভ গাঙ্গুলী ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ভ্যাকসিন নিলেন ভাইরাল ‘চা কাকু’
আগের বছর ভাইরাল হওয়া চা কাকু মৃদুল দেব এখন নিজে একজন কোভিড ওয়ারিয়ার
আগের বছর জনতা কার্ফুর দিন যাদবপুরে এক ব্যক্তি হঠাৎ করেই ভাইরাল হয়ে যান। ২২ মার্চ জনতা কার্ফুর দিন আমরা কি চা খাবো না? খাবো না আমরা চা? বলে তিনি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেন নেট দুনিয়ায়। তার নামে ছড়িয়ে পড়ে হাজারো মিম, তৈরি হয় দেদার হোয়াটসঅ্যাপ স্টিকার। রাতারাতি যাদবপুরের মৃদুল দেব হয়ে ওঠেন সারা বাংলার চা কাকু।
আগের বছর করোনা ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২২ মার্চ ঘোষণা করেছিলেন জনতা কার্ফু। সেদিন বিকেলে নিয়ম ভঙ্গ করে যাদবপুরে বাসিন্দা মৃদুল দেব চা খেতে আসেন পাড়ার দোকানে। সেখানেই তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় কেন তিনি জনতা কারফিউর নিয়ম ভেঙে চা খেতে এসেছেন। তার উত্তর শুনে প্রথমে তার উপর চটে গেলেও পরে নেটদুনিয়া তার আসল পরিচয় জানতে পারে।
জানা যায়, পেশায় দিনমজুর মৃদুল বাবুর দিন আনা দিন খাওয়া সংসার। তাই কাজের জন্য তাকে এই কারফিউ উপেক্ষা করে দৌড়াতে হয়েছিল। তাই জন্য একটা চায়ের দোকান খোলা পেয়ে তিনি সেখানে চা খেতে গেছিলেন। এই ঘটনা জানার পর এই সেলিব্রিটি থেকে রাজনীতিবিদ সকলেই তার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়ার পর মৃদুল বাবুর জীবনটা রাতারাতি বদলে যায়।
লকডাউনে তার হাতে কোনো কাজ ছিল না। বাড়িতে কোন পয়সা ছিল না। তখন তার পাশে এসে দাঁড়ান সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। তিনি নিজে তার সারা জীবনের দায়িত্ব নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এবারে, সৌরভ গাঙ্গুলী ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে তার টিকাকরণের দায়িত্ব নেওয়া হলো। বৃহস্পতিবার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন চা কাকু। অন্যদিকে, মৃদুল বাবু বর্তমানে একজন করোনা ভলেন্টিয়ার হিসেবে কাজ করেন।
নাগরিক সমাজে তিনি বর্তমানে একজন প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা হিসেবে পরিচিত। একটা সময়ে তিনি করোনা ভাইরাসের জন্য জারি করা নিয়ম বিধি মানতে রাজি ছিলেন না, সেই তিনিই আজকে বহু করোনা আক্রান্ত মানুষকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। নেটিজেনদের পাশাপাশি তার এই কর্মকান্ডের জন্য টিম ভারতবার্তার পক্ষ থেকেও তাকে কুর্নিশ।