নিউজপলিটিক্সরাজ্য

‘যে টুকু আছে সব উজাড় করে দেব’, অভিষেককে কাছে টেনে নিয়ে আবেগে ভাসলেন সুব্রত

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলের পুরনো সৈনিকদের কাছে গিয়ে তাদের আশীর্বাদ নিচ্ছেন তৃণমূলের যুবরাজ

Advertisement

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী এবার থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে এলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের, অভিষেকের পরেই আনন্দে আত্মহারা তার কাছের ব্যক্তিরা। অনেক নেতা এবং তার থেকে বড়ো নেতারাও অত্যন্ত খুশি অভিষেককে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দেখে। আর নির্বাচিত হওয়ার পরেই একে একে পুরনো নেতাদের বাড়ি গিয়ে তাদের আশীর্বাদ নিচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

নবীন প্রজন্মের কাঁধে অনেক বড় দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই গুরুজনদের আশীর্বাদ নেওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছেন বিজেপির ভাষায় ‘ভাইপো’। অভিষেককে কাছে পেয়েই তাই আবেগে ভেসে গেলেন তৃণমূলের বর্ষিয়ান নেতা সুব্রত বক্সী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বাড়িতে গিয়ে প্রণাম করতেই তিনি অভিষেককে কাছে টেনে নিলেন। তিনি বললেন, “যা আছে, যতটুকু আছে, তোকে সব উজাড় করে দিয়ে দেব।”

রবিবার দলের সমস্ত শীর্ষ নেতাদের বাড়িতে গিয়ে তাদের আশীর্বাদ নিয়ে এসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সীর সঙ্গে তিনি দেখা করেছেন নিজে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে তাকে প্রণাম করে বেশ কিছুক্ষণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর তিনি চলে যান সরাসরি ভবানীপুরে সুব্রত বক্সীর বাড়িতে। সেখানে সুব্রত বক্সি তাকে কাছে টেনে নিলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে প্রণাম করতেই তিনি তার আবেগ আর ধরে রাখতে পারলেন না। ঘনিষ্ঠ মহলে সুব্রত এমনিতেই একটু আবেগপ্রবণ হিসাবে পরিচিত। তার মধ্যেই তার প্রিয় অভিষেক তাকে প্রণাম করেছে। আর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তিনি।

তিনি আরো বললেন, “যা আছে, যতটুকু আছে, তোকে সব উজাড় করে দেবো। মমতাদির কষ্ট দেখে উপেক্ষা করতে হয়েছে। কি কষ্ট করেছেন তিনি।” তারপরেই অভিষেক তাকে বলেন, “তোমাকে তো সুস্থ থাকতে হবে।” এরপরেই নিজের ফেসবুক একাউন্টে অভিষেক একটি পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, “বাংলার মানুষ তৃণমূলের উপর আরো একবার নিজের আস্থা দেখিয়েছে। মানুষের ভালোবাসা এবং ভরসার মর্যাদা দিতে পেরে আমরা বদ্ধপরিকর। মানুষের স্বার্থ, অধিকার, ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবং দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষিত রাখতে তৃণমূল কংগ্রেস সবসময় সংগ্রাম করে যাবে।”

Related Articles

Back to top button