টলিপাড়ার অন্দরে এখন একটাই কথা অভিনেত্রী তথা সাংসদ মা হতে চলেছেন নুসরত জাহান। তবে সত্যি নাকি নিছকই জল্পনা তা নিয়ে গুঞ্জন বেড়েই সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর যদি সত্যিই অভিনেত্রী প্রেগন্যান্ট হন তাহলে এই বাচ্চার বাবা কে। এরপরই নিখিল নিজেদের বিচ্ছেদের কথা জানান। তিনি স্বীকার করেন এই সন্তান তাঁর নয়। একদিকে নুসরতের ভাঙছে ঘর, অন্যদিকে অভিনেতা যশ দাশগুপ্তর সঙ্গে নতুন প্রেম, তার উপর অন্তঃসত্ত্বার গুঞ্জন। পেজ থ্রি শিরোনামে টলিপাড়ার সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান। নুসরতের এই প্রেমপর্ব সংসার ভাঙন, অঅন্তঃসত্ত্বা গুঞ্জনের মধ্যে ফের চর্চায় উঠে এসেছেন নুসরতের বেস্ট ফ্রেন্ড অভিনেত্রী তথা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।
টলিউডের এদের দুজনের নাম বোনুয়া। সাধারণত টলি ইন্ডাস্ট্রির ইঁদুর দৌড়ের প্রতিযোগিতায় যখন অন্য অভিনেত্রীরা একে অপরের শত্রু হয়ে ওঠেন তখন এরা নিজেদের সম্পর্কের দৃষ্টান্ত রেখেছিলেন। নুসরত-মিমি অন্যদের থেকে অন্যরকম সম্পর্ক বজায় রাখতেন । একসঙ্গে সময় কাটানো, পার্টি, হ্যাং আউট, ভোটের প্রচার, একসাথে শপথ গ্রহণ সবেতেই তাঁরা ছিলেন হাত ধরাধরি করে । কিন্তু হঠাৎই সেই সম্পর্কে যেন ফাটল নজরে পড়ছে । শোনা যাচ্ছে যশের সঙ্গে সম্পর্ক গাঢ় হওয়ার পর থেকেই নাকি দুই বান্ধবীর মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে । অভিনেতা সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নিয়ে শুরু হয় ফের আরো এক জল্পনা। কিন্তু হঠাৎ দুই বান্ধবীর হল কি?
সম্প্রতি বিধানসভা ভোট মিটতেই নুসরত আর যশের সম্পর্কের গভীরতা এখন সকলের কাছেই প্রকাশ্যে। ফ্যানেরা ভালোবেসে নাম দিয়েছেন যশরত। এদের ঘনিষ্ঠতা কারও চোখ এড়ায়নি । এমনকি যশ-নুসরত নিজেরাও এক প্রকার নিজেদের সম্পর্কের কথা স্বীকারই করে নিয়েছেন। তবে যশ, নুসরতের ইনস্টা স্টোরিতে উঁকি মারলে দেখা যাচ্ছে যশের জন্য মিমিকে এখন না পসন্দ নুসরতের। সম্প্রতি যশ শেয়ার করেছিলেন মিমি ও তাঁর অভিনীত’মন জানে না’ সিনেমার জনপ্রিয় গান ‘কেন যে তোকে পাহারা পাহারা দিল মন’-এর একটি ক্লিপ । কিছুক্ষণের মধ্যেই এর পাল্টা উত্তর দেন নুসরত। দেবের সঙ্গে তাঁর অভিনীত ‘খোকাবাবু ৪২০’ সিনেমার একটি ছবির দৃশ্য শেয়ার করেন যেখানে নুসরত ফোনে দেবকে বলছেন, ‘আমার বন্ধুকে পেয়ে আমাকে ভুলে গেছো দেখছি, তুমি চলে যাওয়ার পর না আমার আর কিছু ভাল লাগছে না, খুব একা ফিল করছি।’ এই ভিডিয়োতে লেখা উঠে আসে ‘মিস ইউ’।
নায়িকার এই ইনস্টা স্টোরি কি আসলে যশ’কে উদ্দেশ্য করেই লেখা? নেটিজেনরা তাই মন্স করছেন। এর পরের স্টোরিতে একজন নেক্সট ডোর গার্লকে বলতে শোনা যায়- ‘একটু দেরি করে হলেও যখন আপনি বুঝতে শুরু করেন যে আপনার বন্ধু আপনার সঙ্গে নেই, আপনার উত্থানে কোনও সাহায্য না করে বরং শক্তি কমিয়ে দিতে পিছ পা হবেন না তিনি, সেই বন্ধুর কথা দুবার না ভেবেই সম্পর্ক শেষ করে দেওয়া উচিৎ। কারণ তাঁদের জীবনে রাখলে আপনিই মানসিক ভাবে দুর্বল হবেন। কিন্তু মন ভাল রাখাই নিজের জন্য প্রধান হওয়া উচিৎ।’ এই কথাও মিমি উদ্দেশ্য করে। এখনো পর্যন্ত মিমি নুসরতের অন্তঃসত্ত্বা আর নিখিল আর নুসরতের সম্পর্কের তরজা নিয়ে কোনো কথাই বলেননি।