জেলায় সংক্রমণ বাড়লেই হটস্পট চিহ্নিত করে কনটেনমেন্ট ঘোষণা হবে, নবান্নে ঘোষণা মুখ্য সচিবের
এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের সংখ্যা বাগে এলেও একেবারে কমে যায়নি, তাই এখনও ভেবে চিনতে এগোনোটাই ভালো বলে মনে করছে রাজ্য
করোনা আক্রমণের প্রভাব কমানোর জন্য রাজ্যে কঠোর বিধি নিষেধ জারি করেছিল রাজ্য সরকার গত ১৫ মে। তারপর থেকে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। আগামী বুধবার ১৬ জুন থেকে এই বিধিনিষেধ কিছুটা লাঘব হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু, সত্তিকারের এই সমস্ত বিধি-নিষেধ কবে লাঘব হবে? আদৌ কি এই করোনা লকডাউন থেকে বাঁচা যাবে? এই নিয়ে আবারো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু বিধি নিষেধ জারি করলেন নবান্ন থেকে। তিনি জানিয়ে দিলেন, জেলা স্তরে করোনা সংক্রমনের হটস্পট চিহ্নিত করে প্রয়োজনে কনটেইনমেন্ট এবং মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করা হবে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি দিকে কড়া নজরদারি রাখা হবে এবং নমুনা পরীক্ষার পর রোগীর দ্রুত চিকিৎসা ব্যবস্থা করার সমস্ত সংকল্প নেবে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের নতুন মুখ্য সচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী আজকে নোটিশ জারি করে বিষয়টি কার্যকর করে দিলেন। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক করে ১৬ জুন থেকে এই বিধি-নিষেধ লাঘব করার বিধান দিলেন হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী। তার সঙ্গেই তিনি মঙ্গলবার জারি করলেন নতুন কিছু বিধিনিষেধ যার মাধ্যমে তিনি পুর এলাকা, পঞ্চায়েত এলাকার প্রধান এবং জেলাশাসকদের উপর বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, একটি জেলায় যে সমস্ত জায়গায় বাড়তি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ চলবে সেইখানে হটস্পট চিহ্নিত করে সেই সমস্ত জায়গায় কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষিত করা হবে।
এছাড়াও কিছু কিছু জায়গায় মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী। এছাড়াও এলাকার সমস্ত প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন এলাকার মানুষকে সচেতন করা হয়। সমস্ত দপ্তর, পুরসভা এবং জেলাগুলিকে মঙ্গলবার কড়া সর্তকতা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। টানা দেড় মাস ধরে কার্যত লকডাউন থাকার কারণে সংক্রমণ অনেকটাই হাতে এসেছে। কিন্তু সম্ভাবনা আছে ভারতে করোনাভাইরাস এর তৃতীয় ঢেউ আসবে। তাই, তার আগে এখনই রাশ আলগা করতে নারাজ রাজ্য সরকার। তাই নজরদারি এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে তবেই এগোতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার।