নিউজপলিটিক্সরাজ্য

পুনর্গণনার দাবি নিয়ে হাইকোর্টে যাচ্ছে বিজেপি : দিলীপ ঘোষ

দিলীপ ঘোষের দাবি, বেশ কিছু আসনে অত্যন্ত কম ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সেখানে তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা গণনা কেন্দ্র দখল করেছে এবং বিজেপি কর্মীদের সেখান থেকে বের করেছে বলেও অভিযোগ রাজ্য বিজেপির

Advertisement

নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার দাবি রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দাবি নিয়ে তিনি হাইকোর্ট অবধি ছুটে গিয়েছেন, দায়ের করেছেন মামলা। তাহলে বিজেপি পিছিয়ে থাকে কেন? পাল্টা একই দাবিতে এবারে আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়ে দিল বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিয়েছেন অল্প ব্যবধানে বহু আসনে পরাজিত হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই এই সমস্ত আসনে আবারো পুনর্গণনার দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করতে চলেছে বিজেপি।

বিজেপির আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই এই নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। দীলিপবাবু বলেছেন, অল্প ব্যবধানে হেরেছে এমন আসনগুলিতে পুনর্গণনার দাবিতে আমরা আদালতে আবেদন জানাতে চলেছি। ইলেকশন পিটিশন দায়ের করব। এখনো আমাদের হাতে সময় রয়েছে। আমাদের আইনজীবীরা যাবতীয় দিক খতিয়ে দেখছেন এবং খুব তাড়াতাড়ি আমরা আইনের দ্বারস্থ হতে চলেছি পুনর্বহালের দাবি নিয়ে।

বিজেপি সূত্রের খবর, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে এমন ৫০টি আসন রয়েছে যেখানে বিজেপি অত্যন্ত অল্প ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। বিজেপি দাবি করেছে সেই সমস্ত আসনে ভোট গণনা কেন্দ্রে তৃণমূলের এজেন্ট ঢুকে বিজেপি এজেন্টদের বের করে দিয়েছিল। পাল্টা দাবি রেখেছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছেন, ‘ বিজেপি নেতারা ২০০ এর বেশি আসনে জিতবে বলেছিল। পুনর্গণনা হলে আবার ব্যবধান আরো না বেড়ে যায়।

ফিরহাদ হাকিমের এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহল মনে করছে যদি বিজেপি কম ব্যবধানে জেতা আসনগুলিতে পুনর্গণনার দাবি জানায় তাহলে হয়তো তৃণমূলও তাদের কম ব্যবধানে জেতা আসনের পুনর্গণনার দাবি জানাতে চলেছে। বিধানসভা নির্বাচনের পরে বারংবার বিজেপি নেতারা দাবি করেছেন বিরোধী দলের প্রতি অরাজনৈতিক এবং অত্যন্ত ক্রুর মনোভাব পোষণ করেছে শাসক দল। এমনকি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর পর্যন্ত বর্তমানে ভারতীয় জনতা পার্টির পাশে রয়েছেন এই ভোট-পরবর্তী হিংসা ইস্যু নিয়ে। তারই মধ্যে দিলীপ ঘোষ জানালেন তারা পুনর্গণনার দাবি জানাতে চলেছেন বেশকিছু আসনের জন্য। তার ঠিক অব্যবহিত পরেই তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীর গলায় শোনা গেল বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ যা দেখে নতুন সমীকরণ তৈরি করছেন রাজনৈতিক মহলের অভিজ্ঞরা।

Related Articles

Back to top button