ভুয়া ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে বর্তমানে রাজ্য সরকার এবং বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে চরম চাপানউতোর চলছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী এই পুরো বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হওয়ার পরে এই ভ্যাকসিন কান্ডের রহস্য সামনে আসে। গ্রেপ্তার করা হয় দেবাঞ্জন দেবকে। তবে এই ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকারের উপরে ক্রমশ চাপ বৃদ্ধি করতে শুরু করলো বঙ্গ বিজেপি, গতকাল রাত থেকেই বোঝা যাচ্ছিল বিজেপি নেতারা এই ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে পারে। সেই সম্ভাবনাকে সত্যি করে এবারে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু এদিন বেশ কয়েকজন বিরোধী দলের সাংসদ এবং বিধায়ক নিয়ে সরাসরি চলে যান স্বাস্থ্য ভবন এবং সেখানে গোটাঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়ে আসেন। তিনি এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বলে খবর। এছাড়াও যদি যথার্থ পদক্ষেপ না নেয়া হয় সেখানে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিকদের সামনে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ” যদি অঘটন কিছু একটা ঘটে যেত তখন ওরা বলতো মোদীজি পাঠানো ভ্যাকসিন এর জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গে টিকাকরণ নিয়ে একটা বড় ষড়যন্ত্র চলছে। সাধারণ মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে’।”
উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত যদি না করা হয় তাহলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই মামলায় তদন্ত ভালো না হলে সিবিআই এর দ্বারস্থ হতে চলেছেন তারা। অন্যদিকে আবার বিরোধীদলের বেশকিছু সাংসদ এবং নেতারা শুভেন্দু অধিকারীর সুরে সুর মিলিয়েছেন। বিরোধীদলের তরফ থেকে সায়ন্তন বসু বলেন, ” দিনের পর দিন যেভাবে তৃণমূল নেতাদের নাকের ডগায় এরকম ভুয়ো কারবার চলে আসছে, বিষয়টা একেবারে অবিশ্বাস্য। ”
সায়ন্তন বসু নিজেও কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলছেন, “সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে রীতিমতো ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। আমরা উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করছি। আমরা সিবিআইয়ের সাহায্য নিতে পিছপা হব না। এটা একটা সুগভীর চক্রান্ত। কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে এই রাজ্য সরকার এর দ্বারা।”