টলিউডবিনোদন

কানের দুল নিয়ে বিতর্ক! সুদিপার উত্তরে অভিমানী অনুরাগীরা

Advertisement

এই লকডাউনে, সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে নতুন এক বাকবিতণ্ডা। একদিকে মানুষ কাজ হারাচ্ছে, চারিদিকে হাহাকার, ভয়, ত্রাহি ত্রাহি রব, অথচ এদিকে সাবজেক্ট হল একজোড়া “ঝাড়বাতি” দুল! প্রশ্ন উঠেছে দুলটি সোনার নাকি অন্য কোনো মেটালের। উত্তর এসেছে “আমি ইমিটেশন পরি না”। আরেকটু বিশদে বলা যাক।

রান্নাঘরের রাণী সুদীপা চট্টোপাধ্যায় একজোড়া বড় বড় ঝাড়বাতি দুল পড়েছিলেন কানে। ছবিও পোস্ট করেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেটি পোস্ট করে লেখেন পুরোনো আবেগের কথা। তিনি তার স্মৃতির পাতা উল্টে লিখেছিলেন, “এই ঝাড়বাতি দুলটা প্রথম দেখেছিলুম- নির্মলাদির(মিশ্র) কানে। এত পছন্দ হয়েছিল, যে নির্মলাদি তা টের পেয়ে, আমাকে নিজের কান থেকে খুলে দিয়ে দিয়েছিলেন। ওঁরা এরকমই মানুষ। তবে, আমি জানতুম- ওটি ওনার খুবই প্রিয় দুল। তাই, ফেরত দিয়ে বলেছিলুম- “এর সঙ্গে যে আদর আর আশীর্বাদ ছিল- সেটুকুই আমার। বাকিটা তোমার। আশীর্বাদ করো, যেন এমনই একটা দুল আমার হয় একদিন। যখনই পরবো- তোমার কথা মনে পড়বে।” … দুল তো হল, কিন্তু নির্মলাদির মতো অমন সরল হাসি- হাসতে পারলুম কই?”

ব্যাস এরপরেই তার অনুরাগীরা একের পর এক কমেন্ট করতে শুরু করেন। অনেকেই প্রশংসা করেন। কিন্তু, গোল বাঁধে এক জায়গায়। এক অনুরাগী সুদীপার ইউনিক কানের দুল দেখেই লিখে ফেলেন, ‘এই ঝাড়বাতি দুলটি কি সোনার দিদি?’ উত্তরে সুদীপা বলেন, ‘আমি ইমিটেশন পরি না’।

ব্যাস, অভিমানী আর প্রতিবাদী জনতা সুদীপার বিভিন্ন ছবি কমেন্ট বক্সে পোস্ট করে বুঝিয়ে দেন যে তিনি সোনা ছাড়াও অন্য ধরনের গয়না পড়েন। কেউ কেউ সুদীপার উত্তরের নিন্দাও করেন। বহু মানুষের বক্তব্য অনেকটা এরকম যে সুদীপা উত্তরটা হ্যাঁ বা না তেই দিতে পারতেন। এমনকি কেউ লিখেছেন ‘চকচক করলেই সোনা হয় না’। কেউ বলেছেন ‘আপনার প্রচুর দম্ভ লুকিয়ে আছে।’ অবশ্য সুদীপা নিজের সাফাই দিয়ে এক গণমাধ্যমে বলেছেন, “আমি লিখে দিয়েছিলাম, সোনার গয়না, সৌজন্যে অমুক…। সেখানে এই প্রশ্নটা কেন? আমি ইমিটেশন পরি না। কাউকে ছোট করার জন্য তো বলিনি। “

Related Articles

Back to top button