আন্তর্জাতিকটলিউডনিউজবিনোদন

‘আমি প্রেগন্যান্ট নই’, লাইভে এসে নোবেলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন গায়কের স্ত্রী

Advertisement

কথায় আছে একবার কোনো কথা মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেলে তা আর ফিরিয়ে আনা যায় না। তেমনই হয়েছে বাংলাদেশের এই জনপ্রিয় গায়ক নোবেলের সাথে। নিজের কথাতেই তিনি এখন ফেঁসে গিয়েছেন। সম্প্রতি নোবেল দাবি করেন, খুব শীঘ্রই এই বিখ্যাত গায়ক বাবা হতে চলেছে অথচ এই বিষয় নিয়ে তাঁর নিজের স্ত্রীই কিছুই জানে না। যে মা হবে সে জানেনা কিচ্ছু কিন্তু স্বামী আর সোমক জেনে গেল। এমনও সম্ভব কি করে হয়?

বরাবর নানান বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে পছন্দ করেন দুই বাংলার এই জনপ্রিয় গায়ক নোবেল। দু-দিন আগেই মঈনুল আহসান নোবেল নিজের অরিজনাল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নিজেই লিখেছিলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। হয়তো আমরা মা-বাবা হতে চলেছি। আমি এবং আমার সহধর্মিণীর জন্য দোয়া করবেন’। এই পোস্ট লিখে অবশ্য এই গায়ক নানান ভাবে ট্রোলডও হয়েছিলন। এমন সুখবরের সঙ্গে হয়তো এই শব্দটি অনেকেই বুঝতে পারেনি। অনেকে এই হয়তো শব্দের জন্য নানান কটাক্ষ শুরু করেন। আবার অনেকে শুভেচ্ছাও জানান।

তবে বুধবার এই নিয়ে নোবেলর স্ত্রী, মেহরুনা সালসাবিল কথা বললেন। তিনি নোবেলের ওপর বেশ ক্ষুব্ধ ছিলেন। দু-দিনের অতিক্রম হতে না হতে স্বামীর ওপর রেগে গিয়ে নিজের ফেসবুকে লাইভে করে মিজের অন্তঃসত্ত্বার খবর নিয়ে সরাসরি কথা বললেন। মেহরুনা সালসাবিল নিজের স্বামীর এই মিথ্যাচার নিয়ে প্রতিবাদ জানালেন। তিনি পরিষ্কার করে বললেন, ‘তিনি প্রেগন্যান্ট নন, তিনি প্রথম নোবেলের স্টেটাস দেখে জানতে পারলেন তিনি নাকি মা হতে চলেছেন। এ ব্যাপারে তিনি নোবেলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টাও করেছিলেন কিন্তু সে করেনি। নোবেল কেন এমনটা করলো তিনি নিজেও জানেননা। তিনি আদপে প্রেগন্যান্ট নন, তাই মাতৃত্বের বিষয়টি সে কোনোভাবেই ব্যবহার করতে পারে না। ’

নোবেলের এই নতুন বাবা মা হওয়ার স্টেটাস দেখে এই গায়কের পরিবার, ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা সকলেঅ মেহরুনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে, কিন্তু এই মিথ্যাচারে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন। মেহরুনা জানিয়েছেন,’মাতৃত্ব একটা খুবই সংবেদনশীল বিষয়, সেটাকে পাবলিসিটি স্ট্যান্ট হিসাবে ব্যবহার করা নোবেলের উচিত হয়নি। যেহেতু তাঁর স্বামর এই মিথ্যাচারে তিনি খুবই লজ্জিত। তিনি জানেননা কেনো বলা হয়েছে যে তিনি প্রেগন্যান্ট। তিনি আরো বলেন, তিনি বোধহয় বাংলাদেশের প্রথম মেয়ে যে লাইভে এসে এমন একটা সেনসেটিভ বিষয় নিয়ে কথা বলছে, বলছে তিনি সত্যি অন্তঃসত্ত্বা নন।

যদি নোবেল এই মাতৃত্বকে পাবলিসিটি স্ট্যান্ট হিসাবে নিজের কেরিয়ারের জন্য ব্যবহার করেন তাহলে নিজের স্বামীকে কোনোদিন ক্ষমা করবেন না বলে জানান মেহরুনা সালসাবিল। তিনি আরো বলেন, একটা মেয়ের জন্য প্রেগন্যান্সির বিষয়টা কি সেটা একটা মেয়েই জানে, এটা নিয়ে মিথ্যা রটানো এক বিরাট অপরাধের পর্যায়ে পড়ে’। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর মেহরুবা সালসাবিলকে বিয়ে করেছিলেন নোবেল। বিয়ের পর ভালোই ছিলেন দুজনে। কিন্তু হঠাৎ এই দুজনের এই ভুল বোঝাবুঝির কারণ কি তা বুঝে উঠতে পারছেন না বহু নেটিজেনরা। সত্যি কি নিজের স্ত্রীর প্রেগন্যান্সিকে পাবলিক স্টান্ট হিসেবে ব্যবহার করেছেন তা সময়েই বলবে।

Related Articles

Back to top button