বলা হয়েছিল একবার করোনাভাইরাস আক্রান্ত হলে, তারপর যদি সুস্থ হয়ে যান তাহলে শরীরে করোনাভাইরাস এর বিরুদ্ধে একটি ইমিউনিটি তৈরি হবে। তার ফলেপরবর্তীকালে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা কিছুটা কমবে। কিন্তু, সম্প্রতি একটি চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট উঠে এসেছে যাতে দেখা যাচ্ছে একবার করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে আবারো করোনাভাইরাস এর কবলে পড়েছেন দিল্লির ১০ শতাংশ মানুষ। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে এই পরিসংখ্যান সামনে এসেছে, যেটি পরিচালনা করেছে ইনস্টিটিউট অফ ডেনোমিকস অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি।
এই পরিসংখ্যান সামনে আসা মাত্র বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে ১০০০ জন রোগীর মধ্যে মোটামুটি ১০% কেমন রোগী আছেন যাদের দেহে আগে করোনাভাইরাস আক্রমণ হয়েছিল কিন্তু তার পরেও আবারও তারা করণা আক্রান্ত হয়েছেন। রোগীদের মধ্যে এন্টিবডি কমতে দেখা গেছে এবং এপ্রিলের ঢেউ চলাকালীন তাদের দেহে আবারো অ্যান্টি বডি বাড়ে। অনুমান করা হয়েছে এই রোগীরা দ্বিতীয়বারের জন্য করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ১০ শতাংশ মানুষের দেহে প্রথমে অ্যান্টিবডি কমে গেলেও তারপরে আবার সম্প্রতি বেড়েছে। ফলে অনুমান করা যেতে পারে তারা করণা আক্রান্ত হয়েছেন দ্বিতীয়বারের জন্য এবং এই অনুপাত আরো বেশি বাড়বে আরও কয়েক দিনে। যদি এরকম চলতে থাকে তাহলে করোনাভাইরাস এর আরো একটি ঢেউ খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে ভারতে। জুন মাসের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে অংশগ্রহণকারীদের ৮০ শতাংশ মানুষের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে ডাক্তার অনুরাগ আগারওয়াল বলেছেন, ” আমার মনে হয় কেউ করোনা সংক্রামিত হয়েছেন কিনা তা জানার শ্রেষ্ঠ উপায় হল এন্টি বডি টেস্ট। অনেক ক্ষেত্রে হালকা উপসর্গ থাকলে অনেকে টেস্ট করাতে চান না। আবার অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষাতে সংক্রমণ ধরা পড়ছে না। তাই এই মুহূর্তে করোনা পরীক্ষা করার জন্য অ্যান্টিবডি টেস্ট এর বিকল্প নেই। তাই সব থেকে ভালো হল যদি আমরা জিনোম সিকোয়েন্সিং এর মাধ্যমে বুঝতে পারি কতজন দ্বিতীয়বার সংক্রমিত হয়েছেন।”