পেট্রোল-ডিজেলের উপর কেন্দ্রীয় কর কমানো হোক, মোদিকে আর্জি মমতার
জ্বালানি পণ্যের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সারা দেশে বর্তমানে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম লাগামছাড়া হারে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। রাজের বেশ কিছু জায়গায় পেট্রোলের দাম 100 টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। অনেক জায়গায় পেট্রোলের দাম একেবারে সেঞ্চুরি ছুঁইছুই। জ্বালানি তেলের এই আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবারে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করলেন যেন, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারের নেওয়া করের পরিমাণ কমানো হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের যেভাবে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকারের আরোপ করা করের পরিমাণ কমানোর আর্জি জানিয়েছেন মমতা।
চিঠির প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, গত চৌঠা মে এরপর থেকে আটবার পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যে শুধুমাত্র জুন মাসে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বৃদ্ধি হয়েছে মোট ছয়বার। এক সপ্তাহে 4 বার দাম বৃদ্ধি হয়েছে। এরকম মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ অত্যন্ত সমস্যার মধ্যে আছে। যে কোন জিনিসের দাম অত্যধিক বেড়ে গেছে। এই কারণে সাধারণ মানুষকে ফল ভুগতে হচ্ছে বলেও বলেছেন মমতা।
২০২০ সালের মে মাসের সঙ্গে তুলনা করে চলতি বছরে দেশের পাইকারি মূল্য সূচক ১২.৯৪ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০.৮ শতাংশ। গ্রাহক মূল্য সূচক বেড়েছে ৬.৩০ শতাংশ। এছাড়াও ডিমের দাম বেড়েছে ১৫.২ শতাংশ। এখানে করণা মহামারীর কারণে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৮.৪৪ শতাংশ। এইসব দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের সাধারণ জীবন যাপনে অস্বাভাবিক পরিবর্তন এসে গেছে। আর এই দামবৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিকে।
করোনা অতিমারীর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার শুধুমাত্র জ্বালানি তেল এবং পেট্রোপণ্য থেকে ৩.৭১ লক্ষ কোটি টাকা রোজগার করতে পেরেছে বলেও চিঠিতে অভিযোগ মমতার। এছাড়াও, ২০১৪-১৫ সাল থেকে কেন্দ্রের রাজস্ব বৃদ্ধি ৩৭০ শতাংশ। রাজ্য সরকার পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম কমিয়ে দিয়ে আমজনতাকে স্বস্তি দিতে চেয়েছে এই কথা ও লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।