মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছে বাবুল সুপ্রিয়কে। কিন্তু, মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেয়ার পর সরাসরি ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে দিলীপ ঘোষের রোষের মুখে পড়লেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ। বুধবার কেন্দ্রীয় বন এবং পরিবেশ প্রতিমন্ত্রীর পোস্ট থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। তারপর এই সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটে নিজের অভিব্যক্তি তুলে ধরেন এই বিজেপি সাংসদ।
কিন্তু বাবুল সুপ্রিয়র এহেন উষ্মা প্রকাশ এর পরে তাকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না দিলীপ ঘোষ। সরাসরি বাবুল সুপ্রিয় কে দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন করলেন, আরও তো ১২ জন মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন, তারা তো কোন কথা বলল না? শুধু আপনি কেন বলছেন। দিলীপ ঘোষ আরো বলেন, ” তাকে মন্ত্রিত্ব থেকে বরখাস্ত করা হলে কি ভালো হতো? পদ্ধতি মেনে পদত্যাগ করানো হয়েছে তাকে। আপনি মন্ত্রিত্ব ছাড়লে অন্য দায়িত্ব পাবেন, এটাই তো এতদিন হয়ে থাকে। ১২ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন কেউ তেমনটা লেখেননি। পার্টির প্রতি আস্থা থাকা উচিত। পার্টির জন্য বিধায়ক এবং সাংসদ হয়েছি।
বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় বন এবং পরিবেশ প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন বাবুল সুপ্রিয়। ইস্তফা দেওয়ার পরেই বেনজিরভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি একটি পোস্ট লিখেন। সেখানে তিনি সরাসরি জানিয়ে দেন, তার কাছ থেকে ইস্তফা চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও এমনভাবে ইস্তফা তলবের বিষয়টিকে তিনি খুব একটা শোভনীয় বলে মনে করেন না বলে জানিয়েছেন।
কিন্তু বিজেপির একাংশের মতামত আবার অন্যরকম। তারা মনে করছে, বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে বাবুল সুপ্রিয়র এই সমস্যা আদতে কিন্তু তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এর উপর প্রভাব ফেলতে চলেছে। এই ইস্তফা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ভারতীয় জনতা পার্টির ক্ষেত্রে, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত বলেই বিবেচিত হয় অনেক সময়। তাই, বাবুলের এহেন আক্রমণ খুব একটা ভালো চোখে দেখছে না ভারতীয় জনতা পার্টি, এমনটাই মতামত অনেকের।