এক সময় তিনি দলের হয়ে কথা বলেন, আবার পরমুহুর্তেই তিনি দলের বিরুদ্ধে চলে যান। কিছুদিন আগেই যুব মোর্চার সভাপতি পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন, তার পর মুহূর্তেই আবারো ফিরে এলেন নিজের পুরনো দলে। কিন্তু বারবার এরকম করে নিজের একটা খুব খারাপ ভাবমূর্তি তৈরি করছেন বিজেপি নেতা তথা এখনো বর্তমান বিজেপি যুব মোর্চা সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। যুব মোর্চার সভাপতি পদ ছেড়ে দেওয়ার পরেই রাজনীতির মহলে প্রশ্ন উঠেছিল সৌমিত্র খাঁ কি এবারে বিজেপি ছাড়তে চলেছেন? ফেসবুক লাইভ করে সৌমিত্র খাঁ জানিয়েছিলেন, যুব মোর্চার সভাপতির পদ ছাড়লেও এখনো বিজেপি তিনি ছাড়ছেন না।
সেই ফেসবুক লাইভ থেকে দলের একাংশ কে বারবার কটাক্ষ করেছিলেন সৌমিত্র খাঁ। কিন্তু সেই সমস্ত সমস্যা আজকে অতীত। মন্ত্রিত্ব না পাওয়ার গ্লানিতে হয়তো রাগের বশে হঠাৎ করে ফেসবুকে গিয়ে নিজের সভাপতিত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন সৌমিত্র। কিন্তু রাগ ঠান্ডা হতেই আবারও পুরনো ছন্দে ফিরে এসেছেন এই তরুণ তুর্কি।
সোশ্যাল মিডিয়াতে তার নিজস্ব পেজ থেকে রবিবার রাতে বেশ কিছু এলাকায় জনসভার বেশ কিছু ফুটেজ শেয়ার করেন সৌমিত্র খাঁ। এখানে তিনি বলছেন, ” পথ চলা শুরু। মিশন ২০২৪। বিষ্ণুপুর লোকসভাতে লড়াইয়ে শুরু আজ থেকে।” একটি সাংগঠনিক সভায় যোগ দিয়ে সৌমিত্র খাঁ বললেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুরের তৃণমূল ৫-১ ব্যবধানে হেরেছে। আমি চাই পঞ্চায়েত ভোটে যেন সম্পূর্ণরূপে শূন্য হয়ে যাক এই দল।
কিন্তু, তিনি সভাপতি পদ কেন ছাড়ছেন? এই নিয়ে জবাব দিতে গিয়ে সৌমিত্র খাঁ বললেন, “বয়স পেরিয়ে গেলে এমনিতেই যুব মোর্চার পদ ছেড়ে দিতে হয়, এটা নতুন কিছু নয়। আমি কি সারাজীবন যুব মোর্চা করব?” তবে, গতকাল রাতে শেয়ার করা সমস্ত ভিডিওতে তিনি বললেন, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তিনি কোনো রকম খুব রাখেন নি বরং তার সঙ্গে কাজ করে তিনি অত্যন্ত স্বচ্ছন্দ। আবার, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মান অভিমানের একটা পালা চলেছিল বলে বয়ান সৌমিত্র খাঁ এর।
কিন্তু, তার পাল্টা বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ডক্টর শ্যামল সাঁতরা বললেন, “উনি অনেক কথা বলেন, উনাদের নিজেদের দল ওনাকে পছন্দ করেন না বা গুরুত্ব দেন না। তার দল কি কথা বলছে সেটা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, অন্যান্য দলের কাকে নিয়ে কি বলল তাতে কোনো যায় আসে না। উনি এমন ভাব ভঙ্গি করেন যেন সকালবেলা দল ছাড়ছেন আবার বিকেল বেলা জানান উনি নিজে দলে আছেন। এরকমভাবে বারবার সিদ্ধান্ত পাল্টানো ভালো নয়। মানুষের কাছে সৌমিত্র খাঁ এর কোন ভরসা নেই। উনার মন্তব্যে আমাদের কিছু যায় আসবে না।”