এবারে শুধুমাত্র বিচারপতি বদল নয় সরাসরি আদালত বদল করার আর্জি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম মামলা নিয়ে বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি একেবারে চরমে। এই নন্দীগ্রাম মামলা অন্য হাইকোর্টের সরানো হোক এমন আর্জি জানিয়ে এইবারে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যে বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র মামলা থেকে সরে গিয়েছেন। এর ফলে, শুভেন্দু অধিকারী একটা অতিরিক্ত জায়গা পেয়ে গেলেন নিজের বক্তব্য তুলে ধরার।
ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রাম মামলায় শুভেন্দুকে নোটিশ জারি করা হয়েছে হাইকোর্টের তরফ থেকে। সেইসঙ্গে ইভিএম, নথি এবং অন্যান্য সমস্ত কিছু সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। নন্দীগ্রামে রিটার্নিং অফিসার এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কে নোটিশ দেবার কথা জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১২ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা।
তবে পরবর্তী শুনানি হবার আগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন, অন্যত্র সরানো হলে সঠিকভাবে বিচার হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত দোসরা মে রাজ্যে বিধানসভা ভোট গণনার দিন থেকেই নন্দীগ্রামে এগিয়ে গেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর আবার ফাইট ব্যাক করে এগিয়ে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকটি রাউন্ডের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু তারপর হঠাৎ করেই সপ্তদশ রাউন্ড ঘোষণা হওয়ার পর জানা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জিতে গিয়েছেন। তার পরেই হঠাৎ ছন্দপতন, বিজেপি জানায় শুভেন্দু অধিকারী জিতে গিয়েছেন।প্রায় মধ্যরাত এর কাছাকাছি সময়ে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয় নন্দীগ্রামে পরাজিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এইনির্বাচনের গণনা নিয়ে প্রথম থেকেই সমস্যা রয়েছে। সার্ভার না থাকা, কারেন্ট চলে যাওয়া, লিংক চলে যাওয়া আবার প্রথমে মমতা জয়ী বলেও পরবর্তীতে শুভেন্দু কে জয়ী ঘোষণা করা সবকিছু নিয়ে নন্দীগ্রাম মামলা অত্যন্ত ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছে। ফল ঘোষণার পর থেকেই নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার আরজি জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তার পরেও বর্তমানে বিচারপতি শম্পা সরকারের অধীনে রয়েছে এই নন্দীগ্রাম পুনর্গণনার আরজি মামলা। তার মধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর সরাসরি আদালত বদল করার আর্জি। এই আরজি কতটা ধোপে টিকবে সেটাই এখন প্রশ্ন।