এবার জাল ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি করে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে প্রতারণার অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গা অঞ্চলে। এই অভিযোগের কারণে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেগঙ্গা নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বিজেপি অভিযোগ করেছে, নিজের সই নকল করে পঞ্চায়েত প্রধান উমা দাস কাটমানি গ্রহণ করার পরিকল্পনা করেছেন। ইতিমধ্যেই ১৬ জন এইভাবে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ বিজেপির।
তার পাশাপাশি আরও অভিযোগ করা হয়েছে, সম্পূর্ণ ঘটনার সঙ্গে নাকি তৃণমূল সম্পূর্ণরূপে জড়িত রয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান উমা দাস নিজের সই নিজে জাল করে কাটমানি গ্রহণ করে ওই শংসাপত্র লোকের মধ্যে বিলিয়ে দিচ্ছেন। লোকের বয়স যাতে কম করে দেখানো যায়, সেই জন্য এত ফন্দিফিকির আঁটা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির।
স্থানীয় এক বিজেপি নেতা অভিযোগ করেছেন, পঞ্চায়েত প্রধান মদদ দিয়ে ওই সই জাল করছেন। তারপরে ওই পুরো বিষয়টিকে অন্য কারোর ঘাড়ের উপরে চাপিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছেন তিনি। এছাড়াও তার অভিযোগ ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল জড়িত না হলে প্যাড এবং স্টাম্প কোথা থেকে আসছে। যদিও বিজেপি নেতার এই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সে কোন কৃষকের মৃত্যু হলে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অধীনে ২ লক্ষ টাকা অনুদান পাওয়া যায়। সেই টাকা তুলতে একাধিক মৃত ব্যক্তির বয়স কম দেখিয়ে ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। তারপর ওই সার্টিফিকেট দেখিয়ে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের নামে টাকা তোলা হচ্ছে। বিজেপি আরো অভিযোগ জানিয়েছে, এমন মানুষ যারা হয়তো ১৫ বছর আগে মারা গিয়েছিল, তাদের নাম করেও টাকা তোলা হচ্ছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।