দেশনিউজ

আইপ্যাকের ২৩ জনের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা, তৃণমূল-বিজেপি দ্বৈরথের নতুন কেন্দ্রবিন্দু ত্রিপুরা

আগরতলায় পৌঁছলো তৃণমূলের প্রতিনিধি দল যেখানে আছেন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়

Advertisement

ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা আটকে দেওয়া হয়েছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের বেশ কয়েকজন সদস্যকে। এই নিয়ে বর্তমানে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। অভিযোগ উঠেছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার ওই ২৩ জনকে একটি হোটেলে আটকে রাখা হয়েছিল এবং তারপর তাদেরকে আর বেরোতে দেওয়া হয়নি। এই ঘটনার পরেই ত্রিপুরা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। বুধবার সকালে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধিদল ত্রিপুরা গিয়ে পৌঁছায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, আইন মন্ত্রি মলয় ঘটক এবং আইএনটিটিইউসি এর রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।

অন্যদিকে আবার জানা গেছে, আইপ্যাক সংস্থার ওই কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে সমন পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।এ নিয়ে বিমানবন্দরে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মগের মুল্লুক এর মত আচরণ হচ্ছে। আমরা আইপ্যাকের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার আপ্রান চেষ্টা করব।” রিতব্রতর কথায় সায় দেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও।

সঙ্গেই, ব্রাত্য বসু বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশে যদি একজন আরেকজনের সঙ্গে দেখা না করতে পারে তাহলে তা অত্যন্ত সাংঘাতিক বিষয়।” ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাম নেতা মানিক সরকার তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছেন এই বিষয়টি নিয়ে। সেই প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু বলেন, “বামেদের এই বোধোদয় যত দ্রুত হয় ততই ভালো। তবে ত্রিপুরায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি তৃণমূলের আছে।” সূত্রের খবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও ত্রিপুরা যাবেন আর কয়েক দিনের মধ্যেই।

যদিও এই মামলা রুজু প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ” আমাদের রাজ্যে কৈলাসজির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, যোগীজির হেলিকপ্টার নামতে দেওয়া হয়নি। প্রশাসনিক পদে থাকা বিজেপি নেতাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়েছে, তাদেরকে আটকে দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে। আর এখন তো করোনা পরিস্থিতিতে যে কেউ যে কোন রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে না। যদিও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি আইপ্যাক এর সদস্যরা শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন, আর তাতেই তাদের বাধার মুখে পড়তে হলো।

Related Articles

Back to top button