ছোট্ট বিল্টুর সঙ্গে এখন-তখনের ছবি শেয়ার করে নস্ট্যালজিক ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়
দেখতে দেখতে ১২ বছর কেটে গিয়েছে৷ আজ ও স্মৃতি টাটকা। দিন যতই হোক স্মৃতি থাকে তরতাজা। ২০০৯ থেকে ২০১৪, টানা পাঁচ বছর টেলিপর্দায় জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিল স্টার জলসার ‘মা’ ধারাবাহিক। তিথি বসু মূল অভিনেত্রী হলেও অন্যান চরিত্রগুলিও বেশ হিট হয়। এই ধারাবাহিকে টেলি অভিনেতা আয়ুষ দাস বিল্টুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আর বিল্টুর বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। তবে মাঝে কেটে গিয়েছে অনেকগুলো বছর। সেদিনের সেই ছোট্ট খুদে আয়ুষ দাস আজ বেশ বড়।
‘মা’ ধারাবাহিক থেকে এখনও পর্যন্ত ভাস্কর-আয়ুষের সম্পর্ক অটুট। সময় বাড়ার সাথে সাথে স্নেহের বন্ধন আরও দৃঢ় হয়েছে এত বছরে। এখন দুজনে কাজ না করলেও যোগাযোগ বজায় রেখেছেন। আয়ুষের অভিভাবক হলেন ভাস্মর। ২০২১-এ ‘বিক্রম বেতাল’-এর শ্যুটিংয়ে ভাস্বরের সঙ্গে দেখা হয় আয়ুষের। যদিও দু’জনে আলাদা ছবিতে কাজ করছেন। তবুও সেটে একসাথে দেখা হতেই সেই মুহূর্ত ফ্রেমবন্দী করলেন। আয়ুষ শিশুশিল্পী হিসেবে অনেক ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। বাবা হিসেবে অনেককেই পেয়েছেন আয়ুষ তবু অনস্ক্রিন বাবা হিসেবে এখনও পর্যন্ত সেরার তকমা দিয়েছেন ভাস্মরকে।
সম্প্রতি ‘মা’ ধারাবাহিকের পর্দার বাবা-ছেলের কেমিস্ট্রি ফের একবার উঠে এল অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পাতাতে।
অভিনেতা আয়ুষ দাসের সঙ্গে এখন-তখনের একটি ছবি শেয়ার করেছেন ভাস্কর। দুই অভিনেতাকে ফের এক ফ্রেমে দেখে অবশ্য আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অনুরাগীরা। বর্তমানে ফিল্ম স্টাডিস নিয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করছেন আয়ুষ। আর ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন আর ভাস্বর ‘ শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত মীরা’তে ভৈরবনাথের চরিত্রে অভিনয় করছেন।
মা ধারাবাহিকের একটি ক্লিপ আর এখনকার একটা ছবি কোলাজ করে সেই ছবি শেয়ার করে নস্ট্যালজিক ভাস্বর লেখেন, ‘ওটা ২০১২ ছিল, এখন ২০২১। যদিও বন্ধন একই রয়েছে’। প্রথম ছবিটি ‘মা’ ধারাবাহিকের। সেই সময় আয়ুষ ছিলেন ক্লাস ২-এর ছাত্র। সেই সময় থেকেই নাকি আয়ুষ আর ভাস্করের খুব ভাল সম্পর্ক। এখন আয়ুষ অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছে। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রথম বর্ষের ছাত্র। তবে সময় অতিবাহিত হলেও রিলের বাবা ছেলের সেই সম্পর্ক বিন্দুমাত্র পালটায়নি। আয়ুষ মা ধারাবাহিকের অভিনয়ের সময়ে নিজের আদো আদো গলায় ‘ভাস্কর আঙ্কেল’ বলে ডাকতেন সেই কথাও জানান অভিনেতা। অনেকে এই ছবি দেখে ভালোবাসা জানিয়েছেন। নিমেষে ভাইরাল হয় এই পোস্ট।