শনিবার ভোরে বিহারের একটি প্রত্যন্ত রেলস্টেশনের দখল নিল মাওবাদী গোষ্ঠী। ঘটনার জেরে স্বভাবতই দিল্লি হাওড়া মেন লাইন প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের জন্য বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। শনিবার ভোরে বিহারের জামুই জেলার চৌরা রেলওয়ে স্টেশন দখল করে মাওবাদীরা। সেখানে মাওবাদী আক্রমণের পরেই পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে শুরু করে। পূর্ব রেলের তরফ থেকে তৎক্ষণাৎ বিভিন্ন স্টেশনে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন দাড় করিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর।
মাওবাদী আক্রমণের খবর পাওয়া মাত্রই আধাসামরিক বাহিনী ঘটনাস্থলের দিকে এগোয়। কিন্তু পাহাড়ি এবং জঙ্গল সংলগ্ন এলাকা হওয়ায় মাওবাদীরা সেখান থেকে পালিয়ে যাবার সুযোগ পেয়ে যায়। বর্তমানে, আধা সামরিক বাহিনী স্টেশনের দায়িত্ব নিয়েছে। সমস্ত ট্রেন আবারো চলাচল করা শুরু করেছে। কিন্তু ভোররাত তিনটে ২০ নাগাদ থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ছিল। রেলের মুখ্য আধিকারিক রাজেশ কুমার জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে পাঁচটার পরে হাওড়া মেল লাইন এ আবারো ট্রেন পরিষেবা সচল করা শুরু হয়। এখনো পর্যন্ত রেল লাইনে কোথাও বিস্ফোরক রাখা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়নি। তবে আধাসামরিক বাহিনী বর্তমানে সেই এলাকা ঘিরে ফেলেছে। কোথাও কোন বিস্ফোরক রাখা হয়েছে কিনা, সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখছে তারা।
রেলওয়ে আধিকারিকরা দাবি করেছেন, প্রথমে সশস্ত্র মাওবাদীরা সেই এলাকা ঘিরে ফেলে। মুহুর্তের মধ্যে পুলিশের মত ইউনিফর্ম পরা একজন স্টেশন মাস্টার বিনয় কুমারের ঘরে ঢুকে পড়েন। তারপরে তারা ট্রেন দাঁড় করানোর সিগন্যাল দেন। যদি তা না করেন তাহলে স্টেশন উড়িয়ে দেওয়ার মতো হুমকি দেন তারা।
পরবর্তীতে স্টেশনে মাওবাদী হামলার খবর পাওয়ার পরে ট্রেন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় পূর্ব রেলওয়ে। স্টেশন দখলের কথা উপর মহলে জানানোর জন্য আদেশ দেয় ওই মাওবাদী। পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে তারা সমস্ত যাত্রীদের বসে থাকার জন্য নির্দেশ দেয়। পুলিশের দাবি, তারা পৌঁছানোর আগেই মাওবাদীরা সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। পুলিশ আরও দাবি করেছে, মাওবাদী দমনে বিরুদ্ধে সপ্তাহব্যাপী বন্ধের চতুর্থ দিনে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এ বিষয়ে তেমন কোনো প্লানিং ছিল না বলেই মনে করছে পুলিশ।