টলিউডবিনোদন

Barkha Sengupta: ‘বেশি ভালোবাসলে বেশি কষ্ট পেতে হবে’, দাম্পত্যে ভাঙনের ইঙ্গিত দিলেন বরখা

Advertisement

মাসখানেক আগেই বলি ও টলি দুই ইন্ড্রাস্টিতে শুরু হয়েছিল নতুন গুঞ্জন। প্রথমে গুঞ্জন মনে হলেও এখন তা সত্যি মনে হচ্ছে। শোনা গিয়েছিল, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত এবং অভিনেত্রী বরখা বিস্ত ১৩ বছরের সুখের সংসার তাসের ঘরের মতো ভাঙতে বসেছে৷ তবে প্রথম দিকে দুজনেই এই গুঞ্জনকে গুজব বলেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন৷এরপর দু’পক্ষ চুপচাপ থাকলেও গত মাসেই ইনস্টাগ্রাম থেকে স্বামীকে ‘আনফলো’ করে দিয়েছেন বরখা। যদিও স্ত্রীয়ের ‘ফলোয়ার’ হিসেবে এখনো নিজেকে বহাল করে রেখেছেন ইন্দ্রনীল।

আবারো ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত আর বরখার দাম্পত্যে সমস্যা প্রকাশ্যে এল। দুজন একসাথে না থাকলেও স্বামীকে বিঁধতে ভোলেননি অভিনেত্রী। শনিবার অভিনেত্রী নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি অদ্ভুত পোস্ট করলেন। ইনস্টাস্টোরিতে তনুজা চন্দ্র-র স্টেটাস শেয়ার করেন অভিনেত্রীযাতে লেখা রয়েছে, ‘তুমি বেশি ভালোবাসে বেশি কষ্ট পাবে? নাকি, কম ভালোবেসে কম কষ্ট! এখন এটাই আমার কাছে সবথেকে বড় প্রশ্ন।’ পাশাপাশি এও সংযোজন করেন, তনিজা চন্দ্র এখন অভিনেত্রীর এখন প্রিয় লেখিকা। আর এই পোস্ট দেখে ভাবছেন কেন এরকম পোস্ট অভিনেত্রীর।

অবশ্য এরপরেক নিজের মেয়ে মাইরার সঙ্গে একটি মিষ্টি সেলফিও শেয়ার করেছেন তিনি। একসময়ে বলিউড আর টলিউডের মিষ্টি লাভ বার্ডস হিসেবে পরিচিত ছল। ইন্দ্রনীল-বরখা একসাথে ‘পেয়ার কা দো নাম এক রাধা এক শ্যাম’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেন। এরপর থেকেই শুরু হয় এদের প্রেম। এদের প্রেম সেই সময় অনেকের কাছে এক আদর্শ উদাহরণ ছিল। এরপর ২০০৮-র ১ মার্চ সাতপাকে বাঁধা পড়েন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও বরখা বিস্ত। তবে এদের বিয়ের গ্র‍্যান্ড রিসেপশন পার্টি হয়েছিল ওই বছরই ৩০ মার্চ। বিয়ের তিন বছর পর ২০১১ দালে অক্টোবর ইন্দ্রনীল ও বরখার জীবনে আসে তাঁদের ছোট্ট পরী মাইরা।

দুই তারকা দম্পতি প্রায় ১৩ বছর ধরে হ্যাপিলি ম্যারেড কাপল ছিল। কিন্তু কিসের জন্য এদের সম্পর্কে চিড় ধরলো তা আজ ও অনেকের কাছে অজানা। অবশ্য নিজেদের দাম্পত্য কলোহ নিয়ে দুজনে চুপই আছেন। ইন্দ্রনীল আর বরখার আলাদা থাকা প্রসঙ্গে অভিনেতা জানিয়েছেন, তাঁরা এখনও একসঙ্গেই থাকেন। যা রটেছে সেটা পুরোটাই গুজব। আবার অনেকের ধারণা টলি অভিনেত্রীর ইশার জন্যই নাকি এই লাভ বার্ডসের সংসারে এই ছন্দপতন। তবে ইশা সাহা জানিয়েছেন পুরোটাই রটনা। ইন্দ্রনীল শুধু তাঁর পরের সিনেমার সহঅভিনেতা আর কিছুই না।

Related Articles

Back to top button