সন্ধ্যে সাতটা বাজলে প্রতিদিন পর্দায় জাঁদরেল খলনায়িকা জুন আন্টি এসে হাজির হন। শ্রীময়ীকে জ্বালাতন করা জুন আন্টির কাজ। এই প্রথম কোনো নেগেটিভ চরিত্র সাধারণ মানুষের মনে এতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা দেখিয়ে দিয়েছেন জুন আন্টি ওরফে উষসী চক্রবর্তী। উষসীর অভিনয়, বাচনভঙ্গি, এমনকী তার স্টাইল স্টেটমেন্টে টেলিভিশন পর্দার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার বাসিন্দাদেএ বেশ পছন্দ।
এখন জুন আন্টি ফের জেলে। তবে রিল থেকে বেরিয়ে রিয়েলে জুন আন্টি উষসী চক্রবর্তীর মুকুটে জুড়ল এক নতুন পালক। অভিনেত্রী উষসী অবশেষে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করলেন। গত পাঁচ বছরের কঠোর পরিশ্রমের পরে নিজের স্বপ্ন পূরণের লক্ষে পা রাখলেন পর্দার জুন আন্টির। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন তিনি। তাঁর বিষয় ছিল রাজনীতিতে লিঙ্গ বৈষম্য।
গত বছর করোনা আবহের মধ্যে নিজের পিএইচডি এর থিসিস জমা দিয়েছিলেন উষসী। কিন্তু তার সব থেকে বড় আক্ষেপ ছিল, নিজের মেয়ের থিসিস জমা দেওয়া দেখে যেতে পারেননি তাঁর বাবা রাজনীতিবিদ শ্যামল চক্রবর্তী। থিসিস জমা দেওয়ার কয়েকদিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন শ্যামল চক্রবর্তী।
এক বছর পর ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করলেন “জুন আন্টি’ উষসী। এই সুখবর নিজেই নিজের সামাজিক মাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী উষসী। তিনি ক্যপাশানে লিখেছেন, “আমি এতদিনে ‘অ্যাক্টর’ থেকে ‘ডক্টর’ হলাম। অবশেষে আমার ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করলাম। সবথেকে কাকতালীয় ঘটনা আমার বাবার মৃত্যুবার্ষিকীর দিনই আমি এই ডিগ্রি লাভ করেছি। এটা আমার কাছে যেন একটা ম্যাজিক। আমার পিএইচডি এর জন্য আমার থেকেও আমার বাবার বেশি আগ্রহ ছিল। পিএইচডি এর থিসিস জমা দেওয়ার ব্যাপারে বাবা বারবার আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন।”
উষসী আরো জানান, তিনি নিজেকে ‘ডক্টর’ বলার থেকে উষসী নামে বেশি পরিচিত হতে চান। ‘অ্যাক্টর’, ‘পারফর্মার’, ‘এন্টারটেনার’ হিসেবেই নিজেকে দেখতে চান সকলের প্রিয় জুন আন্টি। তার এই সাফল্যের জন্য নিজের শিক্ষকদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন উষসী। এই পোস্ট শেয়ার হতেই অনুগামীরা অভিনেত্রীকে ভালোবাসা আর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। নিমেষে ভাইরাল হয় এই পোস্ট