শিক্ষক নিয়োগের প্রতীক্ষায় বসে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের ব্যাপারে আরো চিন্তাভাবনা করবে রাজ্য সরকার। আজকে এমনটাই একটি সাংবাদিক বৈঠকে বললেন, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের সঙ্গে বৈঠক করার পরে ব্রাত্য বসু বিস্তর ভাবে এই বিষয়টি জানিয়েছেন।
ব্রাত্য বসুর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার জন্য সহানুভূতিশীল। আমি স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বলেছি, আইন মেনে যতটা স্বচ্ছতার সাথে সব কিছু করা যায়, সেটা করতে।” অন্যদিকে শুভঙ্কর বাবু বলছেন, “সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ শুনবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তারপর যেখানে যেখানে শূন্যপদ আছে, সেখানে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে।”
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমস্যা চলছে চাকরিপ্রার্থীদের। নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ এর চাকরি প্রার্থীরা বারংবার অভিযোগ করে আসছেন রাজ্য সরকারের প্রার্থীদের নিয়োগ এর মধ্যে সমস্যা রয়েছে। যারা এতদিন ধরে ওয়েটিং লিস্টে পড়ে রয়েছেন, তাদের বিক্ষোভ দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। এই নিয়ে একাধিকবার ধরনা দিয়েছেন তারা, কিন্তু তাতে এখনো পর্যন্ত কোনো ফল হয়নি।
এখনো পর্যন্ত, মোটামুটি আড়াই হাজারের কাছাকাছি চাকরিপ্রার্থী ধরনা দিচ্ছেন। এই আন্দোলনের একেবারে সামনে থাকা পাঁচজন চাকরিপ্রার্থীকে ইতিমধ্যেই নিয়োগ পত্র দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে অন্যান্য চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, তাদের দাবি-দাওয়া খতিয়ে দেখছে না স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং রাজ্য সরকার। এই কারণেই বাকি চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে, তারা মনে করছেন তাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে রাজ্য সরকার। তাদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন মনে করছেনা স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই বিতর্কের মাঝেই এবারে চাকরিপ্রার্থীদের দাবি-দাওয়া শোনা নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন ব্রাত্য বসু।