করোনাভাইরাস বিধি মেনে নিয়ে বাংলা সহ ৫ রাজ্যের উপনির্বাচন এবং বিধানসভা নির্বাচনের বাকি কাজটা শেষ করতে চাইছে এবারে নির্বাচন কমিশন। করোনাভাইরাস এর বর্তমান পরিস্থিতিতে কি নির্বাচন করা সম্ভব? সেই নিয়ে এবারের রাজনৈতিক দলগুলির কাছে মতামত জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। যদিও করোনাভাইরাস এর মধ্যেই নির্বাচন করা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে বেশ বিতর্কের মধ্যে পড়তে হয়েছিল। তাই এবারে একেবারে সঠিক পদ্ধতিতে নির্বাচন শেষ করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন।
সেই মর্মে আগামী ৩০ আগস্ট এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলিকে নিজেদের মতামত জানাতে হবে। করোনাভাইরাস গাইডলাইনস মেনে নিয়ে তারপরে নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। সেই মর্মে নিজেদের ওয়েবসাইটে একটি গাইডলাইন আপলোড করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকার ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলিকে নিজেদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে নির্বাচনী চাপানউতোর শুরু হয়েছে ৫ কেন্দ্রের উপনির্বাচনের এবং ২ কেন্দ্রের নির্বাচন নিয়ে। এর আগে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নির্বাচন নেওয়ার কারণে রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে বিভিন্ন হাইকোর্টের কাছ থেকেও ভৎসর্না শুনতে হয়েছিল নির্বাচন কমিশনকে। এই কারণেই রাজ্যের উপ নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবারে করোনাভাইরাস বিধি সংক্রান্ত কোনো রকম খামতি বরদাস্ত করবে না তারা। করোনা পরিস্থিতিতে খানিকটা লাগাম পড়ার পরেই তাই উপনির্বাচন এবং বাকি পড়ে থাকা নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ইতিবাচক বার্তা পাওয়ার পরে আগামী সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে নির্বাচন সেরে ফেলতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, পুজোর আগেই হয়তো বাংলায় নির্বাচন হতে পারে।
ভবানীপুর, খড়দহ, গোসাবা, শান্তিপুর, জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জ এবং দিনহাটা অঞ্চলে নির্বাচন বাকি রয়েছে। এই সমস্ত জায়গায় সামগ্রিক করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যাচাই করে নিয়ে তারপরে নির্বাচনের নিশ্চয়তা দেবে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই আইসিএমআর এর গাইডলাইন গুলি নজর রাখা হয়েছে। এবারে নির্বাচন করা নিয়ে ন্যূনতম ঝুঁকি নিতে নারাজ কমিশন এবং নির্বাচনী আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নির্বাচন করা নিয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন শেষ করে ফেলতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। এই কারণেই কেন্দ্র এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই বাকি সমস্ত কেন্দ্রে উপনির্বাচন গ্রহণ করা সম্ভব হবে এবং সম্ভবত ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে বিজয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকে যেতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।