বাংলায় ফের এক নক্ষত্রপতন। চলে গেলেন
সংগীত শিল্পী পিলু ভট্টাচার্য। বেশ কিছুদিন ধরেই বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এই খ্যতনামা শিল্পী। দিন কয়েক আগেই বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে আচমকাই ফের বুকে ব্যথা শুরু হয়েছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই সব শেষ। চিকিৎসা শুরু হওয়ার আগেই পথে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এদিন সংগীত শিল্পী পিলু ভট্টাচার্যের ছেলে ঋতর্ষি ভট্টাচার্য বাবার মিডিয়ায় পাতায় পিতা হারানোর সংবাদ দিলেন। বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, আমার বাবা পিলু ভট্টাচার্য আজ আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করুন’।
পিলু ভট্টাচার্যের গানের প্রতিভা ছিল অপরিসীম। বিনোদন জগতে নিজের কেরিয়ারের শুরুতে অনেকটাই কষ্ট করতে হয়েছিল। পরে ‘ব্যাক টু ব্যাক’ সিনেমায় হিট গান উপহার দেন দর্শকদের। প্যারেডি আর মজার গানের জন্য বেশি খ্যাত ছিলেন পীলু। নানান গান গাওয়ার মধ্যেই নিজের গান লিখতে শুরু করেন। পাশাপাশি সেই গানে সুর দিতে থাকেন। এরপরেই প্রকাশ্যে আসে তাঁর মৌলিক গানের অ্যালবাম। অন্যান গানের মতো এই শিল্পী স্বল্প সময়ে মৌলিক গানও বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
২০০৭ সালে তাঁর ‘রাধামাধব’ অ্যালবাম গোটা বাংলার মানুষের মন জয় করে নিয়েছিল। জলছবি, বৃষ্টি পড়ে, এমন ছিল না কথা, কান্দিয়া আকুল, চল যাই-এর মতো একাধিক হিট গান তৈরি করেছিলেন শিল্পী। ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ইন্ডাস্ট্রিতে। পীলু ভট্টাচার্যের গানের মারাদোনাও প্রশংসা করেছিলেন। ২০১৯ সালে ভারতীয় ফুটবল টিমের জন্য ‘ইন্ডিয়া জিতেগা’ গানটি গেয়েছিলেন তিনি। বাংলার পাশাপাশি হিন্দি ভাষাতেও ওই গানটি গেয়েছিলেন। আর সেই গান শুনে প্রশংসা করেন মারাদোনা। গানের কারণে দেশ বিদেশে ঘোরার পাশাপাশি ইউনিভারসাল রের্কড বুক থেকে পুরস্কার পাওয়া থেকে শুরু করে এপিজে আব্দুল কালাম পুরস্কার বহু সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন এই বঙ্গ সন্তান পিলু ভট্টাচার্য।
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবাদপ্রতিম শিল্পীরএই চলে যাওয়া নিয়ে শোক প্রকাশ করতে শুরু করেছে বাংলার শিল্পী মহল। কেউই এভাবে গায়কের চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেনা। বন্ধুর মৃত্যুর খবর পেয়ে জোজো লেখেন, ‘পিলু, এটা ঠিক হল না বন্ধু’। আরো অনেকে শোক প্রকাশ করে। পিলু ভট্টাচার্যের এই ভাবে চলে যাওয়া সঙ্গীত জগতের বিরাট ক্ষতি।