এবারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে একাধিকবার আক্রমণ হয়েছে। এর আগে আমরা দেখেছিলাম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে হামলা হয়েছিল যার ফলে তার পা ভেঙে গিয়েছিল। তারপরে কার্যত হুইল চেয়ারে বসে তিনি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার চালিয়ে ছিলেন। তারপরে মানুষের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শোনা যায় তারপর থেকেও, বহুবার তাকে টার্গেট করে তার ওপর আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করেছে অনেক বিরোধীরা।
শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়াতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ একটি কলেজের জুলজি ডিপার্টমেন্ট এর অধ্যাপক অরিন্দম ভট্টাচার্য। তারপর থেকে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে গিয়েছে গোটা পশ্চিমবঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী এখন গোটা দেশের বিরোধী মুখ হিসেবে সামনে এসেছেন। পাশাপাশি তিনি তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। তাকে এরকমভাবে খুনের হুমকি দেওয়ায় রীতিমতো সকলে চমকে উঠেছেন।
ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে লালবাজার অভিযোগ দায়ের করেছেন তমাল দত্ত এবং দেবর্ষি রায়। তারা অভিযোগ জানিয়েছেন, ওই অধ্যাপক দীর্ঘদিন ধরে এরকম বিতর্কিত কথাবার্তা বলে থাকেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য এর আগেও তার বিরুদ্ধে অনেকের মন্তব্য করেছেন। এতদিন পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপে এই সমস্ত মন্তব্য সীমিত ছিল। কিন্তু এবারে সরাসরি কোন কিছু তোয়াক্কা না করে ফেসবুকে এই বিপজ্জনক মন্তব্য করেছেন অরিন্দম ভট্টাচার্য।
ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে লালবাজারে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, একটি ফেসবুক গ্রুপে যখন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কাজকর্ম নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলছিল তখন হঠাৎ করেই অরিন্দম ভট্টাচার্য ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। সকলের সামনে প্রকাশ্যে তিনি বলে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রীকে হত্যা করতে চান তিনি। তারপর একাধিক মন্তব্যে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নানাভাবে আক্রমণ করা শুরু করেন। তার স্ত্রীর চাকরি না থাকার কারণে তিনি রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। এই সমস্ত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাকারী অরিন্দম ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে লালবাজারে মামলা দায়ের করেছেন। তাদের দাবি, যদি রাজ্যের একজন অধ্যাপক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে এই রকম ভাষায় কথা বলতে থাকেন তাহলে নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই ভাবতে হবে। তারা এও মনে করছেন, এরকম মানসিকতার একজন মানুষ যে কোন মুহূর্তে যে কাউকে আক্রমণ করতে পারেন। এই কারণেই তারা লালবাজারে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে লালবাজার, এই ঘটনার তদন্ত শুরু করবে বলে জানিয়েছে।