সাল ২০০৯! হিন্দি টেলিভিশনে একেবারে ফ্রেস জুটি মানব-অর্চনা। মুম্বাইয়ের বৃষ্টিমুখর রাস্তায় হঠাৎ দেখা। ধীরে ধীরে এদের প্রেম কাহিনি ড্রয়িং রুমে সিরিয়াল প্রেমীদের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। হ্যাঁ পবিত্র রিস্তা ধারাবাহিকের কথা বলছি। এই ধারাবাহিকে মানব-অর্চনার চরিত্রে ছিলেন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত ও অভিনেত্রী অঙ্কিতা লোখান্ডে। দুজনের ডেবিউ ছিল এই ধারাবাহিক।
১২ বছর পর ফের রুপোলি পর্দায় ফিরছে অর্চনা-মানবের সম্পর্কের কেমিস্ট্রি। আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল সেই কথা। সেই থেকে অনেকেই ‘পবিত্র রিশতা ২’-এর পর্দায় আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। তবে এই বারে মানবের চরিত্রে সুশান্তের অভিনয় করার কোনো অবকাশ নেই তবে অর্চনার চরিত্রে থাকছেন অঙ্কিতাই। একতা কপূর প্রযোজিত এই ধারাবাহিকের দ্বিতীয় সিজনে মানবের চরিত্রে দেখা যাবে অপর জনপ্রিয় অভিনেতা শাহির শেখকে। অবশ্য সুশান্ত ভক্তরা মানবের চরিত্রে কোনো ভাবেই সুশান্তের জায়গায় অন্য কোনো অভিনেতাকে মেনে নিতে পারছেনা।
ইতিমধ্যে বহু চর্চিত সেই ধারবাহিকের ছোট্ট একটি টিজার নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন অঙ্কিতা লোখণ্ডে। ছোট্ট টিজারে দেখা গেল প্রিয় মানব আর অর্চনার সাত পাকে বাঁধা পড়ার প্রোমো। টিজারে দেখা গেল আগে ওদের দেখা হলেও ভালো লাগা থাকলেও প্রেম এগোয়নি। এরপর দুজনের বাড়িতে একে-অপরের ছবি দেখে বিয়ের জন্য রাজি হয় তাঁরা। মহারাষ্ট্রের রীতিনীতি মেনেই হয় বিয়ে। ব্যকগ্রাউন্ডে ভয়েসওভারে বলা হচ্ছে কিছু সম্পর্ক একেবারে আলাদা হয়।
এই টিজার শেয়ার করে অঙ্কিতা ক্যপশানে লেখেন, , ‘মানব ও অর্চনা থাকলে, বাতাসে প্রেম তো থাকবেই! তাঁদের প্রেমের যাত্রায় আপনারাও সামিল হোন যা খুব শীঘ্রই “পবিত্র রিশতা”-এ পরিবর্তিত হতে চলেছে।’ কিছুদিনের মধ্যেই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভে মুক্তি পাবে ধারাবাহিকটি। তবে এখনো তারিখ মুক্তি পায়নি। তবে এই সিজনের টিজার আসতেই চোখে জল সুশান্ত ভক্তদের। অনেকে ভালোবাসা জানিয়েছেন। অঙ্কিতার পোস্টের কমেন্ট সেকশনে চোখ রাখলেই তা বোঝা যাচ্ছে। অনেকে আবার নস্টালজিয়াতে ফিরে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাহির জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে যখন ‘পবিত্র রিস্তা ২.০’তে মানবের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব আসে, তখন প্রথমে রা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন একবার। কারণ মানবের চরিত্রে সুশান্তের জায়গায় অভিনয় করা সত্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আদৌ দর্শক তাঁকে মানব হিসেবে পছন্দ করবে কি না ভেবে, চিন্তা করেছিলেন একবার। তারপর মাথায় এসেছিল সুশান্তও তো জীবনে ঝুঁকি নিতে ভালোবাসতেম। তাই বেশিকিছু না ভেবে বন্ধুর মতো তিনিও হ্যাঁ বলে দেন।