সিদ্ধার্থ শুক্ল! অভিনেতা যে আর আমাদের মধ্যে নেই তা মেনে নিতেই কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কঠিন হলেও বাস্তব৷ সিদ্ধার্থ বহু বছর টেলিভিশনের পরিচিত মুখ হলেও অভিনেতার ভিতরটা কেমন ছিল তা অনেকেই জানতেননা। তবে ২০১৯ সালে বিগ বস ১৩তে সিদ্ধার্থকে খুব কাছ থেকে দেখেছে গোটা ভারতবাসী। এইখানে দেখেছি আমরা এই অভিনেতা বাইরে থেকে যতটা কঠিন মনের ভিতর থেকে ঠিক ততটাই নরম ছিলেন । কখনো রেশমি হোক বা আরতি কিংবা আসীম যার ওপর যতই রাগ হোক সামনাসামনি হাজার ঝগড়া করুক কিন্তু সেই বিপরীতে থাকা মানুষটা বিপদে পড়তো তখন সবার আগে সব কিছু ভুলে সেই মানুষকে সাহায্য করবে বলে এগিয়ে আসতেন সিদ্ধার্থই।
বৃহস্পতিবার সিদ্ধার্থের এই আকস্মিক মৃত্যুর খবর বিটাউনকে নাড়িয়ে দিয়েছে৷৷ অনেকের মতে এই দিনটি বিটাউনের ব্ল্যাক ডে৷ এই দিন অভিনেতার মৃত্যুর খবর শুনে বালিকা বধূ ধারাবাহিকের আনন্দী ওরফে প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি ও শকড। তিনি এক সংবাদমাধ্যমে প্রয়াত সিদ্ধার্থের স্মৃতি রোমন্থন করলেন। ‘বালিকা বধূ’ ধারাবাহিকে একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন সিদ্ধার্থ শুক্লা ও প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি জানিয়েছেন করোনার লকডাউনের সময় ছিল তাঁদের কাছে বেশ কঠিন সময়। সেই সময়ে তাঁর অ্যাকাউন্টে একপ্রকার জোর করে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। সঙ্গে ফোন করে তাঁদের খোঁজও নিতেন প্রতিনিয়ত। তিনি আরো জানান,বারবার সিদ্ধার্থ তাঁকে ম্যাসেজে জিজ্ঞাসা করতেন তাঁদের কোনো সাহায্য লাগবে কিনা। শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ও বেশ চমকে গিয়েছেন অভিনেতার মৃত্যুতে। তিনি এখনো ভাবতেই পারছেন না সিদ্ধার্থ আর নেই।
কালার্স চ্যানেলের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘বালিকা বধূ’তে অভিনয়ের সুবাদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছিলেন সিদ্ধার্থ আর প্রত্যুষা। এই ধারাবাহিকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করা আনন্দী’র দ্বিতীয় স্বামী শিবরাজ শেখরের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সিদ্ধর্থ শুক্ল। এই ধারাবাহিকে সমাজের বাল্য বিবাহের মতো কুপ্রথা দেখানো হয়। এই ধারাবাহিকে প্রধান চরিত্রে ‘আনন্দী’ চরিত্রে অভিনয় করা প্রত্যুষা ব্যানার্জী ২০১৬ সালে আত্মহত্যা করেন। তাঁর মৃত্যুর চার বছর পর গত বৃহস্পতিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে প্রাণ হারালেন শিবরাজ ওরফে সিদ্ধার্থের চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দী-শিবরাজের জুটিরও ইতি ঘটলো। স্মৃতি হয়ে গেল ‘বালিকা বধূ’ ধারাবাহিকের এই জনপ্রিয় জুটি। আপামর দর্শকের মনের মনিকোঠায় স্মৃতি হিসেবেই থেকে যাবে।