বাংলার রান্নাঘরের রানী বলতে একজনের কথা আগে মাথায় আসবে। হ্যাঁ ইনি হলেন জি বাংলার কুকারি শোয়ের সঞ্চালক সুদীপা চ্যাটার্জি। কথায় আছে যে রাঁধে সে আবার চুল ও বাঁধে। এই কথার যথার্থ উদাহরণ হল সুদীপা। একদিকে প্রত্যেকদিন হাতা খুন্তি নিয়ে বিকেলে প্রিয় দর্শকদের সামনে হাজির হওয়া, পাশাপাশি চিত্র্যনাট্যকার, পরিচালক হিসেবে কাজ করা। অন্যদিকে স্বামী আর দুই ছেলেকে নিয়ে পুরো সংসারের দায়িত্ব একাহাতে সামলানো। কাজের পাশাপাশি নিজের সংসার হল সুদীপার ধ্যান-জ্ঞান।
আজকে ৫ই সেপ্টেম্বর। আজকের দিনটিতে সারা দেশ জুড়ে প্রতিবছর পালিত হয় শিক্ষক দিবস। ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিন উপলক্ষে এই দিনটিকেই শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সকল ছাত্রছাত্রীরা এই দিনটি তাঁদের গুরুদের শুভেচ্ছা বার্তা এবং উপহারের মাধ্যমে সারাবছর পালন করেন।
তবে প্রত্যেক মানুষের কাছে প্রথম শিক্ষক হলেন তাঁদের মা। একজন শিশু প্রথম মা বলতে শেখেন। তবে মা হওয়ার পর মায়ের দায়িত্ব পালন করাটা কিন্তু ততটাই কঠিন। সেটা বেশ ভালোই বুঝতে পারেন মা সুদীপা। তাই তো আজ শিক্ষক দিবসে স্পেশাল শিক্ষককে নিয়ে নতুন ছবি পোস্ট করলেন রান্নাঘরের সঞ্চালিকা। আজ সুদীপা জানালেন তিনি এই বয়সে এসে প্রতিদিন ছেলে আদিদেভের কাছ থেকে নতুন কিছু শেখেন। তাই ছোট্ট আদিদেভকেও শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সঞ্চালিকা।
ছেলে আদিদেভকে সাথে নিয়েই একটি মিষ্টি ছবি শেয়ার করেছেন সুদীপা। ছবি শেয়ার করে প্রথমে নিজের শিক্ষকদের স্মরণ করে প্রণাম জানিয়েছেন তিনি। এরপর অনুগামীদের নিজের নতুন শিক্ষকের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন সুদীপা। ক্যপশানে লিখলেন, ‘শিক্ষা দ্যান যিনি- তিনিই তো ‘শিক্ষক’? তাই, যাঁদের কাছ থেকে ‘শিক্ষা’ পেয়েছি- তাঁদের আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম। আজ আমার নতুন এক শিক্ষকের সাথে আলাপ করিয়ে দিই। ইনি- আদিদেভ চ্যাটার্জ্জী। যিনি আমাকে ‘মা’ হওয়া যে মুখের কথা নয়,তা পদে পদে, প্রতিদিন শেখাচ্ছেন। মা হওয়ার শিক্ষা তো একমাত্র সেই-ই আমাকে দিতে পারে। আর কেউ নয়। তাই না? সেদিন তিনি,হঠাৎই শুটিং’এ এসে হাজির। এসেই প্রথম কথা-’মা! বাড়ি চলো।’ এমন কঠিন পরীক্ষা আগে কেউ দিতে বলেনি। এ পরীক্ষার চিটিং চলবে না। কি যে করি? … দেখুন কেমন রাগ করেছে?’ এরপর অনুগামীরা ভালোবাসা জানিয়েছেন। নিমেষে ভাইরাল হয় এই পোস্ট।