নদীয়ার রানাঘাটের লতাকন্ঠের তকমা পাওয়া রানু মন্ডলের কথা মনে পড়ে? যার একটি গাওয়া গান স্টেশন প্ল্যাটফর্মে ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে মুম্বাইতে রুপোলী নগরে পৌছে যাওয়া। এক গান এই রানুকে রাতারাতি স্টার করে দিয়েছিল। হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে গান গেয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছে গিয়েছিলেন রানু। রীতিমতো তারকার সম্মান পেয়েছিলেন এই রানু মন্ডল। অবশ্য এই ট্যালেন্ট অতীন্দ্রর হাত ধরে গোটা ভারতবর্ষে ছড়ায়। যে ছেলে নিজের ফোনে ‘এক প্যায়ার কা নাগমা হ্যায়’ গানের একটি ছোট ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাতারাতি ভাইরাল করলেন।
একদিকে যেমন নিজের কন্ঠের জন্য একদিন সোশ্যাল মিডিয়াতে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন আজ তেমনি নিজের দুব্যবহারের জন্য আকাশ থেকে মাটিতে এসে পড়েছিলেন রানু মন্ডল। রানাঘাট স্টেশন থেকে পাড়ি দেন বলিউডে। কিন্তু যার হাত ধরে এত সম্মান তাকেই ভুলে গিয়েছিলেন গায়িকা নিজেই। একটি সাক্ষাৎকারে এই অতীন্দ্রকে ভগবানের চাকর বলে তকমা দিয়েছিলেন। ব্যাস! এরপরই মানুষ আর রানুকে পছন্দ করছিলেননা।
গত বছর লকডাউন থেকেই রানুর বাস রানাঘাটের এক ভাড়া বাড়িতে। এবছর করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে লকডাউন শুরু হয় রাজ্যে। এখন কেমন আছেন এই গায়িকা? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছ। যেখানে আরো একবার দেখা গিয়েছে রানুকে। তবে এখন তিনি আর কোনো বড় সেলিব্রেটি নয়। দিন আনি দিন খাওয়া অবস্থা গায়িকার। রানাঘাটের এক চার্চের পাশে একটি বাড়িতে এখন থাকেন রানু। আগের দিনের ভাত বেচে থাকলে ফের ফুটিয়ে খান পরের দিন।
কিছুদিন আগে অন্যভাবে রানাঘাটের রানু ভাইরাল হন। সবুজ নাইটি পরে রানু মণ্ডলের একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ভিডিয়োতে তিনি ফের সকলের হাসির খোরাক হয়ে উঠেছেন। এই নতুন ভিডিয়োতে এক্কেবারে অদ্ভুত সাজে দেখা যায় তাঁকে। পরনে সবুজ রঙের অপরিষ্কার একটি নাইটি আর চোখে ধেবড়ে যাওয়া কাজল আর ঠোঁটে লেবড়ে রয়েছে লাল লিপস্টিক আর কপালে বড় গোল টিপ। যদিও এই সাজেই অপূর্ব কণ্ঠে গান ধরেছেন রানু। গায়িকার এই ভিডিয়োর সাজ দেখে সোশ্যাল মিডিয়ার একাংশ নেটজনতা হাসির রোল, ট্রোল এবং মিমের বন্যা শুরু করেন। তবে রানু মণ্ডলকে নিয়ে কথা বলেন একাংশ। তাঁদের বক্তব্য রানুর মতো একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে এরকম ভাবে বারবার ব্যঙ্গ করা খুব দরকার। রানুর এই ভিডিও বেশ ভালোই ভাইরাল।