Ridhima Ghosh: মাকে হারিয়ে ডটার্স ডে-তে মায়ের উদ্দেশ্যে লিখলেন,‘তোমাকে আজীবন ভালোবাসব’
ঋদ্ধিমা ঘোষ। ২০০৯ সালে প্রথম টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘বৌ কথা কও ‘ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন। আর এই ধারাবাহিক দিয়ে বাংলা অভিনয় জগতে প্রথম পা রাখেন। এই ধারাবাহিকটি স্টার জলসায় সম্প্রচারিত হয়েছে, যেখানে তিনি প্রধান একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এরপর অভিনেত্রীকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি৷ এরপর সেই বছর তিনি বাংলা চলচ্চিত্র ‘ফ্রেন্ড’ সিনেমাতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে ডেবিউ করেন। এই ফ্রেন্ড সিনেমা পরিচালনা করেছেন শতাব্দী রায়। এই সিনেমাটি বক্স অফিসে সেভাবে না চললেও অভিনেত্রী দ্বিতীয় সিনেমা ‘অমর সঙ্গী’তে অভিনয় করেন, আর এই সিনেমা দিয়ে টলিউডে সাফল্য পান অভিনেত্রী হিসেবে তবে অভিনেত্রীর সাফল্যে পিছনে ছিলেন অভিনেত্রীর মা রিমা ঘোষ। ধারাবাহিক হোক কিংবা সিনেমা সব কাজই মায়ের অনুপ্রেরণায় করে জীবনে সাফল্য পেয়েছিলেন।
কিন্তু অভিনেত্রীর অনুপ্রেরণা আজ আর এই পৃথিবীতে নেই। এপ্রিলের শেষের দিকে নিজের মা রিমা ঘোষকে চিরতরে হারিয়েছেন অভিনেত্রী ঋদ্ধিমা। বিষাক্ত করোনা তাঁর থেকে কেড়ে নিয়েছে মা রিমা ঘোষকে। নিজের মাকে প্রতি মুহূর্ত মনে করেন তিনি। তিনি আজ সশরীরে না থাকলেও অভিনেত্রীর স্মৃতিতে আজীবন বেঁচে থাকবেন। আর সেই অনুভূতি কখনো ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয় কারো কাছেই।
আজ রবিবার ডটার্স ডে। এই বিশেষ দিনে নিজের মায়ের সঙ্গে নিজের একটি পুরোনো ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পাতাতে শেয়ার করলেন অভিনেত্রী। এই ছবিতে মা-মেয়েকে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। হাসিমুখে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে দুজনে পোজ দিয়েছেন। বিশেষ দিনে মাকে বড্ড মিস করছেন অভিনেত্রী। এদিন ছবি পোস্ট করে ঋদ্ধিমা লেখেন, ‘মা.. আজকে ডটার্স ডে! তোমার কাছে অযথা আবদারগুলোকে মিস করছি। তোমাকে আজীবন ভালোবাসব’।
নিজের মাকে হারানোর পর ঋদ্ধিমা নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না মা তুমি নেই! এত তাড়াতাড়ি তুমি চলে গেলে! এত তাড়াতাড়ি? আমি তোমার অনুপস্থিতি প্রতিদিন, প্রতি নিঃশ্বাসে টের পাচ্ছি। খুব যন্ত্রণা হচ্ছে, অথচ আমার কষ্টটা লাঘব করবার জন্য তুমি নেই। আমি জানি না, আমার এই জীবনটা তোমায় ছাড়া কেমনভাবে কাটবে?’ পাশাপাশি ঋদ্ধিমা নিজের মাকে কথা দিয়েছিলেন , এত দিন যেভাবে তাঁর কাজে মা গর্ব অনুভব করতেন৷ পরবর্তীকালে একইরকমভাবে কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি। আর তার সঙ্গে অভিনেত্রী আরো জানান, ঋদ্ধিমার মধ্যেই বেঁচে থাকবেন তাঁর মা।