টলিউডের মিষ্টি দম্পতি বলতে প্রথমেই জুটির নাম আসবে। জীবনের বহু চড়াই-উতরাই একসঙ্গে পার করেছেন হাসি মুখে। দুজনেই নিজেদের কাজ আর গুণ দিয়ে সকলের মন জয় করেছে। অভিনয় থেকে পরিচালনা- নিজ গুণে বাংলা ছবিকে সমৃদ্ধ করেছেন এই দুই কলাকুশলী। হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন কথা হচ্ছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় ও চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়ের। এমনকি আজ তাঁদের এক মাত্র সন্তান উজান গঙ্গোপাধ্যায় ও নিজের অভিনয় জগতে প্রথম সিনেমাতে অভিনয় করে দর্শকমনে পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছেন। এখন এই ছেলে সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে ইংরেজদের দেশে রয়েছে। ঘুরতে নয় বরং সেখানে নিজের দক্ষতায় নিজের পড়াশোনা সম্পন্ন করতে গিয়েছে সে। গিয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব সাহিত্য নিয়ে মাস্টার্স করতে।
সম্প্রতি নিজের জীবনের আরও একটা বসন্ত পার করে ফেললেন চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়। চূর্ণী আমাদের সকলের কাছে তিনি পরিচিত অভিনেত্রী, পরিচালক, কাহিনিকার। কিন্তু মানুষ হিসেবে চূর্ণী ঠিক কেমন? সেই কথাই প্রকাশ্যে বললেন তাঁর বেটার হাফ কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। স্ত্রীর জন্মদিনে খোলা চিঠি লিখলেন কৌশিক।
নিজের স্ত্রীর জন্মদিনে বড় চূর্ণীর ছবি নয় বরং খুদে চূর্ণীর সাদা কালো একটি ছবি পোস্ট করেন ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’ পরিচালক। আর এখানে প্রকাশ্যে জানান তাঁর জীবনের সবটুকু জুড়েই রয়েছেন চূর্ণী। জাতীয় পুরস্কার জয়ী পরিচালক লিখেছেন, ‘আমার বান্ধবী, আমার প্রেম, আমার জীবন, আমার সংসার, আমার আদর, আমার সৃষ্টি, আমার সবটুকু তুমি। কে বুঝবে এমন ছোট্টো মেয়ের এতো ক্ষমতা ছিল! ডাউহিলের নির্জনতার মেজাজে অজান্তেই এই নারী পরিপূর্ণতা পেল তার জীবনে ও কাজে । আত্মপ্রচারের এই রমরমা দুনিয়ায় জংলা ফুলের মতো চুপ থাকার জন্য আদর ও শ্রদ্ধা। আরো অনেক বলতে ইচ্ছে করছে, তা নয় আজ সামনে বসেই বলবো। অনেক অনেক আদর। শুভ জন্মদিন’। এরপর অনুগামীরা এই জুটিকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।
ভালবাসে বিয়ে করেছিলেন কৌশিক-চূর্ণী। পেশাগত জীবন হোক বা ব্যক্তিগত জীবন-সর্বত্রই এই জুটি সুপারহিট। টলিউডের বহু কাপলের আদর্শ হলেন এই জুটি। শুধু স্বামী স্ত্রী বা প্রেমিক প্রেমিকা না বএং পরস্পরের সবচেয়ে বড় সমালোচকও তাঁরা। তাঁদের একমাত্র পুত্র উজান গঙ্গোপাধ্যায়। অভিনয়ের দুনিয়ায় আগেই পা রেখেছে সে। ‘রসগোল্লা’ খ্যাত অভিনেতাকে আগামিতে বাবার ছবিতেও অভিনয় করতে দেখা যাবে। কৌশিকের পরিচালনায় উজান অভিনীত ‘লক্ষ্মী ছেলে’ মুক্তির অপেক্ষায়। তবে উজান এখন নিজের অভিনয় থেকে একটু দূরে থেকে পরিচালনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে।