ত্রিপুরায় ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে ত্রিপুরার রাজনীতি পরিস্থিতি। সবথেকে বেশি আঁচ পড়েছে আগরতলা। তৃণমূল কংগ্রেস বনাম বিজেপি- ত্রিপুরার রাজধানীর নিত্যদিনের ঘটনা হয়েই দাঁড়াচ্ছে।রবিবার বিকেলে তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ গ্রেফতারের পর পরিস্থিতির বদল ঘটল। তৃণমূলের তরফে জানান হয়েছে, সোমবার নয়,বরং আজ রাতেই ত্রিপুরার উদ্দেশে রওনা হবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে গেল তাঁর ত্রিপুরা সফর। সোমবার সকালে তিনি ত্রিপুরা যেতে পারবেন।
বিমান অবতারণার সমস্যার জেরে রবিবার ত্রিপুরা যেতে পারলেনননা অভিষেক। সোমবার পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই আগরতলা যেতে হবে অভিষেককে। কেন বদল হল এই সিদ্ধান্ত? জানা যাচ্ছে, সন্ধে সাড়ে আটটার বিমানে ত্রিপুরায় পৌছানোর কথা ছিল অভিষেকের। কিন্তু তার আগেই যাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। কারণ, অভিষেকের বিমানকে অবতরণের অনুমতি দেয়নি ত্রিপুরা প্রশাসন। শিলচর বিমানবন্দরে বিমাম অবতরণ বন্ধ হয় সন্ধে ৭.৩০ টায়। এদিন রাতে শিলচর বিমানবন্দরে নেমে সড়কপথে আগরতলা যাওয়ার কথা ছিল অভিষেকের। কিন্তু বিমান অবতরণের অনুমতি না মেলাতে তাঁর রবিবার ত্রিপুরা যাওয়ার পরিকল্পনা ভেঁসতে গেল। আরো জানা গেল পুরভোটের প্রচারে এদিন তিনি সভাও করবেন। অন্য দিকে শোনা যাচ্ছে ত্রিপুরার এই হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হতে পারে তৃণমূল।
রবিবার সকালেই সায়নীকে পূর্ব আগরতলা মহিলা থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। দীর্ঘ সময় পুলিশি জেরার পর বিকেল ৪টে নাগাদ গ্রেফতার করা হয়েছে সায়নী ঘোষকে রবিবার ছুটির দিন তাও তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে না। ফলস্বরুপ জামিনের আবেদন করা যাবে না৷ তৃণমূলের নেতা কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যকে জানিয়েছেন, “খেলা হবে” এটি বলেছেন বলে গ্রেফতার হলেন সায়নী । ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩, ১৫৩ এ, ৫০৬, ৩০৭ ও ১২০বি-তে জামিন অযোগ্য ধারায় সায়নীর মামলা করেছে ত্রিপুরার শাসকদল।